আনন্দবাজারের প্রতিবেদন
আল্লা জীবন দিয়েছেন, আল্লাই নেবেন: অডিও বার্তায় শেখ হাসিনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৪১, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৫১, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বহুল আলোচিত মামলার রায় ঘোষণার ঘণ্টাখানেক আগে ভারত থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে অডিয়োবার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তাঁর স্পষ্ট বার্তা—তিনি রায়কে পরোয়া করেন না, কারণ “আল্লা জীবন দিয়েছেন, আল্লাই নেবেন।”
রবিবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয় এই অডিয়ো।
অডিয়োবার্তায় হাসিনা বলেন—“আমি বেঁচে আছি, বেঁচে থাকব। মানুষের হিতার্থে আবারও কাজ করব। বাংলাদেশের মাটির প্রতি সুবিচার করবই।”
তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ তৃণমূল ভিত্তির দল—“কারও পকেট থেকে জন্ম নেওয়া নয়”—তাই দলকে ধ্বংস করা এত সহজ নয়।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে নিশানা করে হাসিনা বলেন—“সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইউনূস সেটাই করেছেন। হত্যার নির্দেশ তো তাঁরই দেওয়া।”
এছাড়া আন্দোলনের সময় নিহত দেড় হাজার মানুষের মৃত্যুর দায় তার ওপর চাপানোকে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে আখ্যা দেন।‘গুলি চালানোর নির্দেশ দিইনি’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন—তিনি কাউকে সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশ দেননি,পুলিশ রবার বুলেট ব্যবহার করেছে, মৃতদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করলে সত্য বেরিয়ে আসবে, সাক্ষীদের জবানবন্দি গোপন রাখার কারণেও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
সরকারপক্ষ তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেছে। অনেকের ধারণা—রায়ে সেই দণ্ড ঘোষণাও হতে পারে। তবে হাসিনা একে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
তিনি বলেন,“ওরা রায় ঘোষণা করুক। আমি পরোয়া করি না। আল্লা জীবন দিয়েছেন, আল্লাই নেবেন।”
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও জানিয়েছেন—রায়ে মৃত্যুদণ্ড এলেও হাসিনা নিরাপদ,ভারত সরকার তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন—“দশ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া কি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ? আর ভিকটিমদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া—ওটা কোন মানবিকতা?”
তিনি দাবি করেন মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
