আনন্দবাজারে শেখ হাসিনার প্রতিক্রিয়া
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৪৯, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৫২, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সোমবার ফাঁসির আদেশ ঘোষণা করেছে। রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই দেশান্তরী হাসিনা লিখিত বিবৃতি পাঠিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, পক্ষপাতদুষ্ট এবং পূর্বনির্ধারিত’ বলে আখ্যা দেন।
হাসিনা দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের সপক্ষে “একটি শক্ত প্রমাণও হাজির করতে পারেনি ট্রাইবুনাল।” বরং তাঁর দীর্ঘ শাসনামলে মানবাধিকার রক্ষা, দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের বহুমুখী অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তাঁর ভাষায়, “এ সবই জাতিসংঘ স্বীকৃত। তাই এই রায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক।”
বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করেন, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী প্রশাসন “নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।”
তিনি বলেন,“চরমপন্থী ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই অস্থায়ী সরকার বাংলাদেশকে সহিংস, অরাজক ও সামাজিকভাবে পশ্চাৎগামী শাসনব্যবস্থার দিকে ধাবিত করছে।”
হাসিনার দাবি, ইউনূস সরকার দেশে ভিন্নমত দমন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, নারী নির্যাতনের বিস্তার এবং প্রশাসনিক অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক মন্দা ও বিনিয়োগ স্থবিরতাও তুলে ধরেন তিনি।
এই রায় যে আগেই নির্ধারিত ছিল—এ অভিযোগও তোলেন ‘মুজিব-কন্যা’। তার বক্তব্য,“আওয়ামী লীগকে ভেঙে দেওয়ার নীলনকশার অংশ হিসেবেই আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। একটি অনির্বাচিত, ক্ষমতালিপ্সু সরকারের স্বার্থ রক্ষায় এই ট্রাইবুনাল ব্যবহার হয়েছে।”
হাসিনা আরও বলেন, ইউনূস সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনে দেরি করছে, যাতে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যায়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্রবিরোধী’ হিসেবে তুলে ধরেন।
লিখিত বিবৃতির শেষে হাসিনা উল্লেখ করেন,“বিশ্বের কোনও নিরপেক্ষ পেশাদার আইনজীবী এ রায় সমর্থন করবেন না। বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রতিশোধে ব্যবহারের ঘটনা বাংলাদেশকে একটি বিপজ্জনক অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। খবর : ভারতীয় আনন্দ বাজার
