২৮ বছর পর বিশ্বকাপে নরওয়ে
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:৪০, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
ইতালির রোমে নিজেদেরই ঘরের মাঠে ৪–১ গোলের বিধ্বংসী হার। আর সেই হারই নিশ্চিত করে দিল—২৮ বছর পর বিশ্বকাপ মঞ্চে ফিরছে নরওয়ে। বাছাইপর্বে আট ম্যাচে আট জয় নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পেল তারা। বিপরীতে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালিকে আবারও কঠিন প্লে-অফের পরীক্ষায় নামতে হচ্ছে।
ম্যাচের শুরুতে আক্রমণাত্মক ইতালি মাত্র ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় ফ্রানচেসকো পিও এস্পোসিটোর দারুণ ফিনিশিংয়ে। প্রথমার্ধজুড়ে বল দখল, আক্রমণ—সবই ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। নরওয়ের কাছে সেভাবে সুযোগও মেলেনি।
কিন্তু বিরতির পর যেন বদলে যায় সবকিছু।নুসা-হালান্ড ঝড়ে ভেসে যায় ইতালি।৬৩ মিনিটে অ্যান্টোনিও নুসার গোল নরওয়েকে সমতায় ফেরায়। এরপরই ম্যাচ হাতছাড়া হতে থাকে ইতালির।
৭৮ মিনিটে ভয়ঙ্কর ভুল করে আরলিং হলান্ডকে ফাঁকায় রেখে দেয় ইতালির রক্ষণ। সেই সুযোগে ভয়ঙ্কর ভলিতে দলকে এগিয়ে দেন ‘গোল মেশিন’ হলান্ড।
মাত্র এক মিনিটের ব্যবধানে আরও একটি গোল করে নিজের সংখ্যা নিয়ে যান ১৬–তে—বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনিই।
ইনজুরটাইমে ইয়র্গেন স্ট্র্যান্ড লারসেনের গোল নিশ্চিত করে নরওয়ের ৪–১ ব্যবধানের ঐতিহাসিক জয়।
৯ গোলের ব্যবধানে জিতলেই কেবল সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়ার আশা ছিল ইতালির। তা না হওয়ায় টানা তৃতীয় বিশ্বকাপেও প্লে–অফে তাদের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে।
ইতালি কোচ জেনারো গাত্তুসো ম্যাচ শেষে বলেন—“আমরা সমাধান খুঁজে নেব। সেমিফাইনাল, তারপর ফাইনাল—শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে যেতে চাই। আজকের ৪–১ ফলটা খুবই কঠিন। ভক্তদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
প্রথমার্ধে সুযোগ নষ্টের খেসারতই দিতে হলো তাদের।২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান—নরওয়ের আবেগঘন প্রত্যাবর্তন
১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ায় আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড। ইনজুরির কারণে মাঠে না থাকলেও ইতিহাসের সাক্ষী হয়েই উচ্ছ্বসিত তিনি।
অধিনায়ক বলেন—“এটা অবর্ণনীয়। বহু বছরের স্বপ্ন আজ সত্যি হলো। এত প্রতিকূলতা, এত ব্যর্থতার পর এই অর্জন অবিশ্বাস্য। বিশ্বাস হারাইনি—আজ সেই বিশ্বাসেরই পুরস্কার পেলাম।”
শেষ বাঁশির পর নরওয়ে পুরো দল উদযাপনে মাতলেও তাদের চোখ এখন বড় মঞ্চে। পারফেক্ট বাছাই অভিযান জানিয়ে দিল—২০২৬ বিশ্বকাপে নরওয়েকে কেউই আর ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।
