ইডেন পিচ নিয়ে গম্ভীরকে কড়া বার্তা সৌরভ গাঙ্গুলির
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:১৫, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
ইডেনে ভারতের লজ্জাজনক ব্যাটিং ধস যেন নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে ঘরের মাঠে পিচ নির্বাচনের গোপন রাজনীতি ও টিম ম্যানেজমেন্টের কৌশলগত দুর্বলতা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাত্র ১২৪ রানের সহজ লক্ষ্যও পেরোতে না পেরে ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। প্রথম দিন থেকেই টার্নিং উইকেট, অনিশ্চিত বাউন্স আর ধীরে ধীরে ভেঙে পড়া সারফেসে দিশেহারা হয়ে পড়েন ভারতীয় ব্যাটাররা।
শুধু ক্রিকেটপ্রেমী নয়, সাবেক ক্রিকেটার থেকে বিশেষজ্ঞ—সবাই প্রশ্ন তুলেছেন, ঘরের মাঠে ভারত কি ইচ্ছা করেই এমন পিচ তৈরি করছে? এর মাঝেই সামনে এল সিএবি সভাপতি ও ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সোজাসাপ্টা বার্তা।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়ে দিলেন— বিতর্ক যতই থাক, ভারতের এই হারের দায় পিচ নয়। তিনি বলেন,
“এই পিচ সেরা ছিল না। কিন্তু ১২০ তুলতে না পারাটা সত্যিই হতাশাজনক। পিচ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই—ভারত এই ম্যাচ জিততেই পারত।”
গম্ভীরের মন্তব্য— ‘এমন পিচই দল চেয়েছিল’— প্রসঙ্গে দাদা বলেন, নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ভারত সবসময় ভালো ও ব্যালান্সড পিচেই খেলতে চায়।
গম্ভীরের কোচিং দক্ষতার প্রশংসা করলেও সৌরভ মনে করিয়ে দেন,“বুমরা, সিরাজ, শামির ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। তিন দিনের টেস্ট জেতার চিন্তা করলে চলবে না। টেস্ট হল পাঁচ দিনের খেলা।”
ভারতীয় দলে স্পিনারদের ওপর অতিনির্ভরতা এবং ফাস্ট বোলারদের অবমূল্যায়নই পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করেছে বলে মনে করেন তিনি।
ইডেনের উইকেটে স্পিনারদের আধিপত্য ছিল ঠিকই। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বারবার ভুল শট, ছোট পার্টনারশিপ গড়তে ব্যর্থতা এবং চাপে পড়ে সিদ্ধান্তহীনতাই ম্যাচকে হাতছাড়া করেছে বলে মন্তব্য সৌরভের।
দক্ষিণ আফ্রিকার অফ-স্পিনার সাইমন হার্মার যে ভারতীয়দের ওপর দাপট দেখিয়ে একাই ৮ উইকেট তুলে নিলেন, সেটাই ভারতের ব্যাটিং দুর্বলতাকে নগ্ন করে দিয়েছে।
শুবমান গিলের ঘাড়ের চোটে সমস্যা তৈরি হলেও সৌরভ মনে করেন—“ব্যাটিংয়ের মূল সমস্যাটা ছিল কৌশলগত বিভ্রাট ও নিজস্ব শক্তি ভুলে যাওয়া।”
ম্যাচ শেষে গম্ভীর অবশ্য পিচ বিতর্ক পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে জানান—“যেমন পিচ চাই, তেমনটাই দেওয়া হয়েছিল। এতে কোনও অস্বচ্ছতা নেই।”
২২ নভেম্বর গুয়াহাটিতে শুরু হচ্ছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্ট। ইডেনের ব্যর্থতা কাটিয়ে ভারতের ব্যাটাররা কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়—সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট দুনিয়া।
