শেখ রেহানাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি গ্রহণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০০:৪৮, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০০:৫৪, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
খ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। ফাইল ছবি
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা আলোচিত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আফনান জান্নাত কেয়ার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
জেরা শুরু, শেষ হয়নি
জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য খুরশীদ আলমের আইনজীবী মো. শাহীনুর ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শুরু করেন। তবে জেরা শেষ না হওয়ায় আগামী মঙ্গলবার অবশিষ্ট জেরার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে আসামি পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিনের পুনরায় (রি-কল) জবানবন্দি গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।
গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি আদালতে উপস্থিত
শুনানির সময় এ মামলায় গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি খুরশীদ আলমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি উপস্থিত থাকায় তাঁর পক্ষ থেকে সাক্ষীদের জেরা করার সুযোগ হয়। তবে অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষ থেকে জেরা করা সম্ভব হয়নি।
দুদকের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছে আদালত।
আগের অভিযোগ গঠন
গত ৩১ জুলাই, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের বিরুদ্ধে প্লট দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা ৬ মামলায় দুই পরিবারের ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার দুই বিশেষ জজ আদালত।
শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলে–মেয়ে ছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন তাঁর বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।
মামলার অন্য আসামিরা
শেখ হাসিনা পরিবারের বাইরে বাকি ১৬ জন অভিযুক্ত হলেন—তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিয়া, সদস্য খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য নাসির উদ্দীন, সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার।
চার্জশিটে কী বলা আছে
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়—সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার মোট ৬টি প্লট অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের নামে বরাদ্দ নেন বলে দুদক অভিযোগ করে।
মামলার কার্যক্রম এখন জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের ধাপে রয়েছে।
