ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধ , এপস্টিন ফাইল প্রকাশের দাবিতে অনড় মার্জোরি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:৫৬, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত জেফ্রি এপস্টিন ফাইল প্রকাশ ইস্যুকে ঘিরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান মার্জোরি টেইলর গ্রিন–এর দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। ট্রাম্প যখন প্রকাশ্যে গ্রিনকে “traitor”, “wacky” এবং “ranting lunatic” আখ্যা দিয়েছেন, তখন গ্রিন বলছেন—এই নিন্দাসূচক শব্দগুলো তার জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে।
সিএনএনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন–এ গ্রিন বলেন— “তিনি (ট্রাম্প) আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলেছেন, যা ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক। এই ধরনের কথা মানুষকে উস্কে দিতে পারে এবং আমার নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।”
তবে সব বিরোধ সত্ত্বেও গ্রিন দাবি করেছেন—তিনি এখনও ট্রাম্পকে সমর্থন করেন, কিন্তু এপস্টিন ফাইল গোপন রাখার বিষয়ে তাঁর সঙ্গে একমত নন।
এপস্টিন ফাইলই কি বিরোধের মূল?
গ্রিন জানান, ট্রাম্পের ক্রমাগত আক্রমণ আসলে জেফ্রি এপস্টিন সংক্রান্ত নথি প্রকাশের দাবিকেই ঘিরে।
আগামী সপ্তাহেই মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে Epstein Files Transparency Act–এর ভোট হওয়ার কথা। বিলটি পাস হলে বিচার বিভাগকে এপস্টিন–সংক্রান্ত সব অশ্রেণিবদ্ধ নথি, যোগাযোগ, তদন্তপত্র ও দলিল প্রকাশ করতে বাধ্য করা হবে।
রিপাবলিকান এমপি থমাস ম্যাসি জানিয়েছেন—১০০ পর্যন্ত জিওপি সদস্য হয়তো বিলটির পক্ষে ভোট দেবেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে এপস্টিনের বন্ধুত্ব ২০০০–এর শুরুর দিকে ছিল। ট্রাম্প দাবি করেন, আইনি ঝামেলা শুরু হওয়ার আগেই তাদের পথ আলাদা হয়ে যায়।
গ্রিন বলেন— “আমি বুঝতে পারছি না ট্রাম্প কেন ফাইল প্রকাশ ঠেকাতে চাইছেন। তবে ভুক্তভোগীরা আমাকে বলেছেন, ট্রাম্প অবৈধ কিছু করেননি।”
এপস্টিন ফাইল প্রকাশে ট্রাম্প দ্বিধায় থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে দ্বিদলীয় চাপ বাড়ছে।
নিজের অতীত বিতর্ক নিয়েও গ্রিন বলেন, তিনি আগেই ক্ষমা চেয়েছেন এবং তাঁর খ্রিস্টান বিশ্বাস অনুযায়ী ক্ষমাই নীতি।
এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, এপস্টিন ফাইল প্রকাশের বিষয়টি রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন আরও বাড়াতে পারে—বিশেষত যখন গ্রিন নিজের অবস্থান থেকে এক ইঞ্চি সরছেন না। সূত্র : বিবিসি
