সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

| ২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধ , এপস্টিন ফাইল প্রকাশের দাবিতে অনড় মার্জোরি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬:৫৬, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধ , এপস্টিন ফাইল প্রকাশের দাবিতে অনড় মার্জোরি

যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত জেফ্রি এপস্টিন ফাইল প্রকাশ ইস্যুকে ঘিরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান মার্জোরি টেইলর গ্রিন–এর দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। ট্রাম্প যখন প্রকাশ্যে গ্রিনকে “traitor”, “wacky” এবং “ranting lunatic” আখ্যা দিয়েছেন, তখন গ্রিন বলছেন—এই নিন্দাসূচক শব্দগুলো তার জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে।

সিএনএনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন–এ গ্রিন বলেন— “তিনি (ট্রাম্প) আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলেছেন, যা ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক। এই ধরনের কথা মানুষকে উস্কে দিতে পারে এবং আমার নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।”

তবে সব বিরোধ সত্ত্বেও গ্রিন দাবি করেছেন—তিনি এখনও ট্রাম্পকে সমর্থন করেন, কিন্তু এপস্টিন ফাইল গোপন রাখার বিষয়ে তাঁর সঙ্গে একমত নন।

 

এপস্টিন ফাইলই কি বিরোধের মূল?

গ্রিন জানান, ট্রাম্পের ক্রমাগত আক্রমণ আসলে জেফ্রি এপস্টিন সংক্রান্ত নথি প্রকাশের দাবিকেই ঘিরে।

আগামী সপ্তাহেই মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে Epstein Files Transparency Act–এর ভোট হওয়ার কথা। বিলটি পাস হলে বিচার বিভাগকে এপস্টিন–সংক্রান্ত সব অশ্রেণিবদ্ধ নথি, যোগাযোগ, তদন্তপত্র ও দলিল প্রকাশ করতে বাধ্য করা হবে।

রিপাবলিকান এমপি থমাস ম্যাসি জানিয়েছেন—১০০ পর্যন্ত জিওপি সদস্য হয়তো বিলটির পক্ষে ভোট দেবেন।

ট্রাম্পের সঙ্গে এপস্টিনের বন্ধুত্ব ২০০০–এর শুরুর দিকে ছিল। ট্রাম্প দাবি করেন, আইনি ঝামেলা শুরু হওয়ার আগেই তাদের পথ আলাদা হয়ে যায়।

গ্রিন বলেন— “আমি বুঝতে পারছি না ট্রাম্প কেন ফাইল প্রকাশ ঠেকাতে চাইছেন। তবে ভুক্তভোগীরা আমাকে বলেছেন, ট্রাম্প অবৈধ কিছু করেননি।”

এপস্টিন ফাইল প্রকাশে ট্রাম্প দ্বিধায় থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে দ্বিদলীয় চাপ বাড়ছে।

নিজের অতীত বিতর্ক নিয়েও গ্রিন বলেন, তিনি আগেই ক্ষমা চেয়েছেন এবং তাঁর খ্রিস্টান বিশ্বাস অনুযায়ী ক্ষমাই নীতি।

এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, এপস্টিন ফাইল প্রকাশের বিষয়টি রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন আরও বাড়াতে পারে—বিশেষত যখন গ্রিন নিজের অবস্থান থেকে এক ইঞ্চি সরছেন না। সূত্র : বিবিসি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

শেখ রেহানাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি গ্রহণ
ঢাকায় একাধিক স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ
খুলনায় নানি ও দুই নাতি-নাতনির মরদেহ উদ্ধার
উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
কাপ্তাই সড়কে সিএনজির উপর হাতির হামলা, প্রাণ গেল বৃদ্ধার
স্টারবাকস বয়কটের ডাক মেয়র জোহরান মামদানির
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১১, নিখোঁজ ১২
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া ফ্যাসিবাদ হটানো সম্ভব নয়—জোনায়েদ সাকি
পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল, ১৫ কর্মকর্তার বদলি
সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭০০
যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কড়াকড়ি
ট্রেনের লাগেজ ভ্যান কেনায় ৩৫৮ কোটি টাকার ক্ষতি, রেলের ছয় কর্মকর্তা দুদকের মামলার মুখোমুখি
ট্রেনের লাগেজ ভ্যান কেনায় ৩৫৮ কোটি টাকার ক্ষতি, রেলের ছয় কর্মকর্তা দুদকের মামলার মুখোমুখি
মোহাম্মদপুরে ৬ পেট্রল বোমা উদ্ধার, আটক ১
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন প্রেম চোপড়া
লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে নতুন বিতর্কে কঙ্গনা রানাউত
বিভিন্ন দেশের ১৫ হাজার প্রবাসীকে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব
১০ বছর পর বড় পর্দায় ফিরছেন বজরঙ্গি ভাইজানের ‘মুন্নি’
চুড়ান্ত নিবন্ধন দৌঁড়ে এগিয়ে এনসিপি ও বাসদ, পিছিয়ে আমজনগণ পার্টি
গাজা পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে ভোট সোমবার