চট্টগ্রাম-১৩ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন রিদুয়ান হৃদয়
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৪:৪৫, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
মনোয়ন ফর্ম তুলে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে রিদুয়ান, ছবি: সমাজকাল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১৩ (আনোয়ারা–কর্ণফুলী) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন রিদুয়ান হৃদয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন।
মনোনয়ন নেওয়ার পর স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এ সময় রিদুয়ান হৃদয় বলেন,“বঙ্গোপসাগরের পাশঘেঁষা গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চল বছরের পর বছর অবহেলিত। মানুষের সেবা ও এলাকার উন্নয়নই আমার প্রধান লক্ষ্য।
গত ১৫ বছর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগে যুক্ত থাকার কারণে মানুষের প্রত্যাশা ও ভোগান্তি কাছ থেকে দেখেছি। সুযোগ পেলে সেই সমস্যাগুলোই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করব।”
৫ আগস্টের পর থেকে আনোয়ারা–কর্ণফুলীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনার কারণে এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এরই মধ্যে বিএনপি, জামায়াত, বৃহত্তর সুন্নী ঐক্যজোটসহ বিভিন্ন দল সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে রিদুয়ান হৃদয়ের এনসিপির মনোনয়ন নেওয়া স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আনোয়ারা–কর্ণফুলীর ভোটারদের কাছে নতুন মুখ, তরুণ নেতৃত্ব এবং ‘নির্বাচনী অস্থিরতার বাইরে একজন ক্লিন ইমেজ প্রার্থী’–র চাহিদা গত কয়েক মাসে আরও তীব্র হয়েছে। সেই জায়গা থেকেই রিদুয়ান হৃদয়ের মনোনয়ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইঙ্গিত বহন করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলার এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী সানাউল্লাহ মির্জা সমাজকালকে বলেন—“রাজনৈতিক পুরনো বন্দোবস্তকে কবর দিতেই জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান।
এরপর মানুষের প্রত্যাশা ছিল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা মামলা–বাণিজ্যে জড়িত নন—এমন একজন গ্রহণযোগ্য নেতা পাবেন কর্ণফুলীবাসী। আমি মনে করি, আনোয়ারা–কর্ণফুলী যোগ্য একজন প্রতিনিধিকে পেতে যাচ্ছে, যিনি সত্যিকার অর্থে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।”
আনোয়ারা উপজেলার এনসিপির যুগ্ম–সমন্বয়কারী কাজী জাবের বলেন—“আমরা এমন একজন প্রার্থী চাই, যিনি গণমানুষের জন্য কাজ করবেন। আনোয়ারাবাসীর অধিকার রক্ষায় লড়াই করবেন। রিদুয়ান হৃদয়ের নেতৃত্ব সে প্রত্যাশার সঙ্গে মিলে যায়।”
আনোয়ারা–কর্ণফুলী দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। কর্ণফুলী টানেল, শিল্পকারখানা, বন্দর সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। কিন্তু স্থানীয় জনগণের অভিযোগ—উন্নয়ন কাঠামো থাকলেও বাস্তব সুবিধা তাদের কাছে পৌঁছায়নি।
তাই নতুন প্রজন্মের একজন তরুণ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিককে সামনে পেলে এলাকার ভোটাররা কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখান, তা এখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের নজরে।
