রাজধানীতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৭, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে ভালো মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
কল্যাণপুরের বাসিন্দা আসিফুর রহমান জানান, ১৫ দিন আগে যে পেঁয়াজ তিনি ৯০ টাকা কেজি দরে কিনেছিলেন, বৃহস্পতিবার তা ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখেছেন।
মূল্যবৃদ্ধির কারণ
পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের মতে— দেশি মজুত শেষ: দেশি পেঁয়াজের মজুত শেষের দিকে, ফলে সরবরাহ স্বাভাবিকের তুলনায় কম।
আমদানির অভাব: ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ থাকায় সরবরাহ কমে গেছে। ঐতিহ্যগত বৃদ্ধি: প্রতিবছরই নভেম্বর মাসে সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ে, এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি।
সামনে কী?
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নতুন মৌসুমের আগাম পেঁয়াজ (মুড়িকাটা) বাজারে এলে দাম কমতে পারে। তবে নভেম্বরজুড়ে পেঁয়াজের দাম উচ্চ পর্যায়ে থাকতে পারে। গত বছরও নভেম্বরের মাঝামাঝি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০–১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
বর্তমান বাজারদর (প্রতি কেজি)
মানিকগঞ্জ ও ফরিদপুরের ছোট পেঁয়াজ: ১০০–১১০ টাকা
পাবনার ভালো মানের পেঁয়াজ: ১২০ টাকা
যেসব পণ্যের দাম কমেছে
আলু: কেজিতে ৩–৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা হয়েছে।
ডিম: ফার্মের ডিম এখন ডজনপ্রতি ১২০–১৩০ টাকা, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ১৩০–১৪০ টাকা।
চাল: ভারত থেকে স্বর্ণা (মোটা) ও পাইজাম চাল আমদানির কারণে দাম কমেছে।
আমদানিকৃত স্বর্ণা চাল: ৫০ টাকা (দেশি স্বর্ণা আগে ৫৫ টাকা)
পাইজাম চাল: ৫৫ টাকা
তবে মিনিকেট চালের দাম অপরিবর্তিত আছে।
মুরগি:
ব্রয়লার: ১৭০–১৮০ টাকা
সোনালি: ২৭০–৩০০ টাকা
সবজি: শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে, ফলে দাম কিছুটা কমেছে।
ফুলকপি/বাঁধাকপি: ৪০–৬০ টাকা
লাউ: ৬০–৮০ টাকা
মুলা: ৫০ টাকা
রাজধানীতে পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে গতকাল মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার, আগারগাঁও তালতলা বাজার ও কারওয়ান বাজারে ক্রেতাসংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অর্ধেক ছিল বলে জানান বিক্রেতারা। মাংস বিক্রেতা মো. পারভেজ বলেন, ‘শুধু আশপাশের ক্রেতারাই আসছেন।’
