দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রীর দাবি
কিমের কাছে ৪৭টি পরমাণু বোমা তৈরির ইউরেনিয়াম আছে
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:৩৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২২:০৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং বলেছেন, তাদের গোয়েন্দা মূল্যায়নে উত্তর কোরিয়ার কাছে প্রায় ২০০০ কেজি উচ্চমাত্রার (৯০% বা তার বেশি সমৃদ্ধ) ইউরেনিয়ামের মজুদ থাকতে পারে। তিনি বুধবার সাংবাদিকদের আরও বলেন, “অনুমান করা হচ্ছে যে পিয়ংইয়ংয়ের চারটি কেন্দ্রে এখনও ইউরেনিয়াম সেন্ট্রিফিউজ কার্যক্রম চালু রয়েছে।”
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রচলিত হিসাব অনুযায়ী একটি পারমাণবিক বোমা তৈরিতে গড়ে আনুমানিক ৪২ কেজি উচ্চসমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম লাগে। সেই হিসাব অনুযায়ী ২০০০ কেজি ÷ ৪২ কেজি ≈ ৪৭.৬ —যার মানে প্রায় ৪৭টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভাব্য কাঁচামাল রয়েছে বলে হিসাব করা যায়। অবশ্য বাস্তবে বোমা নির্মাণে প্রযুক্তিগত জটিলতা, ব্যালিস্টিক সক্ষমতা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ—এসব বিবেচনায় রেখে বাস্তব সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রীর বিবৃতিতে সরাসরি উল্লেখ নেই যে এই পরিমাণ সম্পদ কত দ্রুত অস্ত্র প্রস্তুতিতে রূপ নেওয়া যেতে পারে, কিংবা আইএইএ বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এ মজুদ সম্পর্কে স্বাধীনভাবে কি তথ্য পেয়েছেন। পিয়ংইয়ং সাধারণত তার পরমাণু কার্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ নয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ও পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন এখনো সীমিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কাঁচামালের পরিমাণ যখনই কোনো নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে, তখন তা ন্যূনতম কৌশলগত সতর্কতা ও কূটনৈতিক পরিণতি ডেকে আনে। প্রতিবেশী দেশগুলো—বিশেষত দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—এই ধরনের রিপোর্টকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং তারা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে কূটনৈতিক-সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করে।