বাংলাদেশকে ব্যবসায়িক ভিসা দেওয়া শুরু করেছে ভারত: প্রণয় ভার্মা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:১৬, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা, ছবি : ভারতীয় হাইকমিশন
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানিয়েছেন, সীমিত কর্মীসংখ্যা ও সক্ষমতার মধ্যেও বাংলাদেশের জন্য আবারও ব্যবসায়িক ভিসা ইস্যুর কার্যক্রম শুরু করেছে ভারত। বিশেষ করে যেসব আবেদনকারীর জরুরি প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পবিষয়ক নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠান ‘ফার্মা কানেক্ট’–এ তিনি এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা, গবেষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভিসা জটিলতা কাটাতে ভারত কাজ করছে: প্রণয় ভার্মা
হাইকমিশনার বলেন, একসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ভিসা আবেদনকেন্দ্রগুলোর সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তবে এখন সীমিত কর্মীবলে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিসা ইস্যু করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি আরও জানান,“বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে। জরুরি ভিসা আবেদনগুলো দ্রুত প্রক্রিয়া করার চেষ্টা করছি।”
ব্যবসায়িক ভিসার প্রয়োজনে আবেদনকারীরা চাইলে হাইকমিশনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য শাখার সচিবের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ভিসা পেতে বিভিন্ন জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে ভারতীয় কাঁচামালের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সংযোগ রয়েছে— ফলে ব্যবসায়িক ভিসা স্বাভাবিক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির বলেন—“ফার্মা কানেক্টের মতো উদ্যোগ প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা সহযোগিতা ও সাপ্লাই চেইন সংযুক্তীকরণে বড় ভূমিকা রাখবে।”
তিনি জানান, বাংলাদেশে কাঁচামাল শিল্প বাড়ছে এবং ভারত এ ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে। স্থলসীমান্ত থাকার সুবিধায় ভারত থেকে কাঁচামাল দ্রুত আমদানি করা গেলে বাংলাদেশ আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারবে।
অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. জাকির হোসেন বলেন, ভিসা জটিলতার কারণে এ বছর ভারতের বিশ্ববিখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যাল প্রদর্শনী সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫–এ বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।সাধারণত কয়েকশ পেশাজীবী অংশ নিলেও এবার মাত্র ৮৩ জন আবেদন করেছেন।
তিনি ব্যবসায়িক ভিসার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার পাশাপাশি আবেদনগুলোর বিশেষ বিবেচনা নিশ্চিত করতে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
