আরও দশ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ‘আরাকান আর্মি’
উখিয়া-টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:২৩, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:২৫, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ছবি: ফাইলফটো
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে কক্সবাজারের টেকনাফের একটি ট্রলারসহ আরও দশজন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা।
এ নিয়ে বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুদফায় দুটি ট্রলারসহ ১৬ জন বাংলাদেশি জেলে অপহরণের শিকার হলেন। ভোরে সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি গভীর সমুদ্র থেকে দশজন ও সকালে ছয়জন মাঝি-মাল্লাকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। দুটি দলের কাছ থেকেই একটি করে ট্রলার আটক করে তারা।
টেকনাফ পৌরসভাস্থল কায়ুকখালী ঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ জানান, ‘জেলে অপহরণের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। আমরা সবাই আতঙ্কে রয়েছি’।
বরাত দিয়ে সভাপতি সাজ্জাদ আরও বলেন, ‘ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলারগুলোর মালিক মো. আমিনের একটি ট্রলার সোমবার (১৭ নভেম্বর) তার ঘাট থেকে সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে আমার ঘাট ত্যাগ করে’।
মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানায়, ২৮ অক্টোবর আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করে। টহলের সময় আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয়। সেখানে তারা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত ১৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরবর্তীতে মুক্তি দেয়। কিন্তু এখন আইন অমান্য করায় ফের এসব ট্রলার ধরা হচ্ছে বলে দাবি করছে আরাকান আর্মি। আজও ১৬ জেলে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করে তারা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘দুটি ট্রলারসহ ১৬ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের কাছ থেকে জেনেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোজঁ নেওয়া হচ্ছে’।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, গত ১১ মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমারে নাফ নদসহ সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩৫০ জেলেকে অপহরণ করে আরাকান আর্মি। তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। এখনো ১৫০ জেলে আরাকান আর্মির হাতে রয়েছে। ফলে অনেক জেলে সাগরে মাছ শিকারে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
