ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদের সভাপতি হিসেবে ভাষণ দিলেন তালহা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:১৬, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
 
						
									বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সূচনা হলো ইউনেস্কোর ৪৩তম সাধারণ পরিষদে। ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খোন্দকার মোহাম্মদ তালহা প্রথমবারের মতো ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদের সভাপতি হিসেবে ভাষণ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) উজবেকিস্তানের সামারকান্দে অনুষ্ঠিত সাধারণ অধিবেশনে তিনি সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। অক্টোবরের শুরুতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাপানের প্রার্থীকে পরাজিত করে রাষ্ট্রদূত তালহা সভাপতি নির্বাচিত হন। আজ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
ইউনেস্কো—একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের উন্নয়নে কাজ করে—এর ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি এই মর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হলেন।
নিজের প্রথম ভাষণে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন,“আমরা মানুষের দুর্ভোগ—যেমন সংঘাত, অনাহার, যুদ্ধ, গণহত্যা—প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েছি। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এখন বিভাজনের অস্ত্র হয়ে উঠছে, আর বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি মানবজাতির অস্তিত্বের ওপর হুমকি তৈরি করছে।”
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে মানবিক মর্যাদা ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজুলে রাষ্ট্রদূত তালহাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,“এটি বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। মাতৃভাষার প্রচার ও সংরক্ষণে বাংলাদেশ যে নেতৃত্ব দেখিয়েছে, তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনুকরণীয়।”
সাবেক সভাপতি রাষ্ট্রদূত সিমোনা বলেন,“রাষ্ট্রদূত তালহার পেশাগত অভিজ্ঞতা থেকে ইউনেস্কো ও বিশ্ব সম্প্রদায় নতুনভাবে উপকৃত হবে।”
পরে রাষ্ট্রদূত তালহা সামারকান্দে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়োয়েভ, সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুচিচ এবং স্লোভাকিয়ার প্রেসিডেন্ট পিটার পেলেগ্রিনি।
এই আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব এবং সভাপতিত্ব—দুই-ই দেশটির আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের অবস্থানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল।

 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													