চ্যাটজিপিটি অ্যাপ ব্যবহারে গতি কমছে
প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:২৩, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
চ্যাটজিপিটির মোবাইল অ্যাপের জনপ্রিয়তা এখন একপ্রকার স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিখ্যাত অ্যাপ বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান অ্যাপটোপিয়া-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত এপ্রিলের পর থেকে অ্যাপটির ডাউনলোড ও ব্যবহার বৃদ্ধির হার আর তেমন বাড়ছে না।
অ্যাপটোপিয়ার তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আগের মাসের তুলনায় চ্যাটজিপিটি অ্যাপের বৈশ্বিক ডাউনলোড হার কমেছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। তবে এটি কোনোভাবেই মোট ডাউনলোড কমে যাওয়ার ইঙ্গিত নয়—বরং ডাউনলোডের গতি কিছুটা মন্থর হয়ে আসার প্রতিফলন। এখনো প্রতিদিন লাখ লাখ ব্যবহারকারী অ্যাপটি ইনস্টল করছেন, কিন্তু আগের মতো দ্রুত গতিতে নয়।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই মডেলের আচরণগত পরিবর্তন, বাজারে বাড়তি প্রতিযোগিতা এবং ব্যবহারকারীর মানসিক ক্লান্তি—এই তিনটি বিষয়ই ভূমিকা রাখছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাজারে এখন শুধু ওপেনএআই নয়, গুগলের জেমিনি, অ্যানথ্রপিকের ক্লড, এবং পারপ্লেক্সিটির মতো বিকল্প টুলও শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।
অন্যদিকে, ওপেনএআই-এর নিজের নীতিগত পরিবর্তনও ব্যবহার হ্রাসে প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত এপ্রিলের আপডেটের পর চ্যাটজিপিটি-কে আগের তুলনায় কম “সহমত প্রকাশকারী” বা “বন্ধুত্বপূর্ণ” করা হয়েছিল।
এরপর আগস্টে জিপিটি-৫ সংস্করণ প্রকাশের পর অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন, নতুন মডেলটি আগের চেয়ে কম ব্যক্তিসুলভ অভিজ্ঞতা দেয়।
অ্যাপটোপিয়া মনে করে, গুগলের জেমিনির উত্থান চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর কমে যাওয়ার একমাত্র কারণ নয়। কারণ জেমিনির জনপ্রিয়তা পাওয়ার আগেই চ্যাটজিপিটি অ্যাপে ব্যবহারকারীদের গড় সময় ব্যয় কমতে শুরু করেছিল। অর্থাৎ, চ্যাটজিপিটি এখন অনেকের জন্য “অভ্যাসগত টুল” হয়ে উঠেছে—দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহার হচ্ছে, কিন্তু আগের মতো কৌতূহল বা নতুনত্বের কারণে মানুষ আর ঘন ঘন অ্যাপটি খুলছে না।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, ওপেনএআই এখন চ্যাটজিপিটিকে শুধু প্রশ্ন-উত্তরের অ্যাপ হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না। প্রতিষ্ঠানটি পরিকল্পনা করছে, এটিকে ভার্চুয়াল বিক্রেতা প্ল্যাটফর্মে পরিণত করা হবে, যেখানে ব্যবহারকারীরা সরাসরি পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারবেন। একই সঙ্গে কনজিউমার হার্ডওয়্যার ও অ্যাপভিত্তিক বিজ্ঞাপন মডেল চালুর দিকেও কাজ চলছে।