রিফারবিশড ডিভাইস কেনার আগে দেখে নিন
গ্যাজেট ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩:১০, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
পুরোনো ডিভাইস কিনার আগে যা গুরুত্ব দিয়ে দরকার
প্রযুক্তি বাজারে ‘রিফারবিশড’ শব্দটি এখন বেশ পরিচিত। ব্যবহার করা বা বিভিন্ন কারণে ফেরত আসা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোনসহ নানা ইলেকট্রনিক ডিভাইস বিশেষজ্ঞদের হাতে পরীক্ষা, মেরামত ও হালনাগাদের পর আবার বাজারে বিক্রি করা হয়অ।এগুলোই রিফারবিশড ডিভাইস। দাম তুলনামূলক কম হলেও এ ধরনের পণ্য কেনার আগে শুধু আকর্ষণীয় অফার দেখে সিদ্ধান্ত নিলে ঝুঁকি থেকেই যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রিফারবিশড ডিভাইস কেনার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নজরে না রাখলে সহজেই প্রতারণার শিকার হতে পারেন ক্রেতারা।
১. ওয়ারেন্টি ও রিটার্ন পলিসি—প্রথমেই যাচাই করুন
নতুন পণ্যের মতো রিফারবিশড ডিভাইস কেনার সময়ও ওয়ারেন্টি ও রিটার্ন নীতিমালা দেখা বাধ্যতামূলক। অনেক অনলাইন দোকানে ‘নতুনের মতো’ লেখা থাকলেও সেখানে ওয়ারেন্টি বা রিটার্ন সুবিধা থাকে না। তাই শুধু বিক্রেতার কথায় ভরসা না করে ডিভাইসটি চালু হয় কি না, ফিচারগুলো ঠিকমতো কাজ করে কি না—অবশ্যই পরীক্ষা করা উচিত।
ওয়েবসাইটে নীতিমালা উল্লেখ না থাকলে কাস্টমার সাপোর্টে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
২. বিক্রেতার সুনাম, রেটিং ও নিরাপত্তা যাচাই করুন
রিফারবিশড ডিভাইস কেবল বিশ্বাসযোগ্য বিক্রেতার কাছ থেকেই কেনার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। অনলাইনে লোভনীয় দামে স্ক্যামাররা প্রায়ই প্রতারণা করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন—বিক্রেতার রেটিং, ইউজার রিভিউ এবং পূর্ববর্তী ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা যাচাই না করলে ঝুঁকি বাড়ে।
যদি সন্দেহ থাকে, তাহলে স্যামসাং, অ্যাপল, সনি’র মতো ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে রিফারবিশড ডিভাইস কেনাই নিরাপদ।
৩. ডিভাইসের বয়স ও সফটওয়্যার আপডেট চেক করুন
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ—রিফারবিশড যেকোনো ডিভাইস কেনার সময় অবশ্যই এর বয়স পরীক্ষা করতে হবে।
কারণ—পুরনো ডিভাইস নতুন সফটওয়্যার আপডেট পায় না,নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে,ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের সম্ভাবনাও বেশি থাকে।এ ছাড়া পারফরম্যান্স—যেমন অ্যাপ বা গেম চালানোর গতি—সফটওয়্যার সাপোর্টের ওপরেই নির্ভর করে।
৪. নতুন মডেলের সঙ্গে দামের তুলনা করুন
অনেকেই মনে করেন রিফারবিশড মানে সবসময় সস্তা। কিন্তু নতুন মডেল এবং রিফারবিশড পণ্যের দামের পার্থক্য অনেক সময় খুবই কম থাকে।ফলে সামান্য বাড়তি দাম দিয়ে নতুন ডিভাইস কিনে নেওয়াই দীর্ঘমেয়াদে বেশি লাভজনক হতে পারে।
সাম্প্রতিক মডেল বাজারে এলে আগের মডেলের দাম কমে—এ সুযোগেও ভালো ডিল পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ই-ওয়েস্ট কমাতে এবং পুরনো ডিভাইস পুনর্ব্যবহার করার ক্ষেত্রে রিফারবিশড বাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও সচেতন হয়ে কেনাকাটাই ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
