ইসমাইল দরবারের বিস্ফোরক দাবি
ঐশ্বরিয়া-সালমানের সম্পর্ক ভাঙার পেছনে ‘দেবদাস’
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:২৬, ৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৩৭, ৯ অক্টোবর ২০২৫

বলিউডের জনপ্রিয় সুরকার ইসমাইল দরবার আবারও খোলামেলা মন্তব্য করে আলোচনায়। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ও ‘দেবদাস’-এর মতো ছবিতে সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে কাজ করা এই সুরকার জানিয়েছেন, তিনি আর কখনও বানসালির সঙ্গে কাজ করবেন না। তবে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তুলেছে তার মন্তব্য, যেখানে উঠে এসেছে ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও তিক্ত পরিণতির কথা।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বিকি লালওয়ানিকে দেওয়া বক্তব্যে ইসমাইল দরবার বলেন, “আমি এক বছর ধরে ‘হীরামণ্ডি’ নিয়ে কাজ করছিলাম। হঠাৎ এক মতবিরোধে আমি প্রকল্পটি ছেড়ে দিই।” তিনি আরও জানান, বানসালি যখন কাজের প্রয়োজনীয়তা বুঝেছিলেন, তখন তাকে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এ সুযোগ দিয়েছিলেন। আর দরবার নিজে বানসালির প্রয়োজনে নিজের অন্যান্য কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয় বানসালির সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় যখন তিনি ‘দেবদাস’-এ শাহরুখকে নেন। সালমান তো তাকে ‘খামোশি’ ব্যর্থ হওয়ার পরও সাহায্য করেছিলেন। কেউ যদি দু’বার সাহায্য করে, আর তৃতীয়বার আপনি তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে নেন, তিনি তো কষ্ট পাবেনই।”
ইসমাইল দরবার আরও বলেন, “সালমান ও ঐশ্বরিয়ার ঝগড়ার খবর তখন সর্বত্র ছিল। আমার খারাপ লাগত, কারণ তারা এত কাছের ছিল, ওদের এমন ঝগড়া দেখা দুঃখজনক ছিল। তবে এগুলো এখন অতীত। সালমানও যথেষ্ট বুদ্ধিমান, তিনি এসব নিয়ে আজ আর কিছু বলবেন না।”
এই বক্তব্য আবারও ফিরিয়ে এনেছে বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত সম্পর্কগুলোর একটি—ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সালের প্রেমের কাহিনি, যা শেষ পর্যন্ত তিক্ত বিচ্ছেদে গড়ায়।
একই আলোচনায় বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রহ্লাদ কাক্কারও জানান, তিনি ঐ সময় ঐশ্বরিয়া ও সালমানের বিবাদের সাক্ষী ছিলেন। ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে একই ভবনে বাস করতেন তিনি।
কাক্কারের ভাষায়, “তাদের বিচ্ছেদের পর ঐশ্বরিয়া ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন। সবচেয়ে বড় আঘাত পেয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রির আচরণে। সালমানের কারণে বলিউড তাকে এক সময় এড়িয়ে চলেছিল— সেটিই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের অধ্যায়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই সময় থেকেই তার কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতি বদলে যায়। তিনি নিজেকে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার মনে করেছিলেন।”
ইসমাইল দরবার ও প্রহ্লাদ কাক্করের এই মন্তব্য বলিউডের পুরোনো সম্পর্কের ইতিহাসকে আবারও আলোচনায় এনেছে। একদিকে সুরকার-পরিচালকের ভাঙন, অন্যদিকে এক সময়ের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর প্রেমের জুটির অজানা ব্যথা— সব মিলিয়ে ‘দেবদাস’-এর পর্দার বাইরের গল্পও যেন সিনেমার মতোই নাটকীয়।