শতভাগ ফেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে, শীর্ষে দিনাজপুর

এবছর দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শতভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে-এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯ হাজার ৩০২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০২টি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। এর আগে গতবছর ২০২৪ সালে কেউ পাস করতে পারেনি- এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৬৫টি। সেই হিসাবে এবার শতভাগ অনুত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ১৩৭টি।

অন্যদিকে.  এবার কমেছে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। গতবছর ২০২৪ সালে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীই পাস করেছে, এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৮৮টি। এবার সব শিক্ষার্থী পাস করেছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৪৫টি। সে হিসেবে এবার শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১০৪৩টি।

অবশ্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে কোন প্রতিষ্ঠানেই শতভাগ ফেল নেই। 

শতভাগ ফেল- এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবার সর্বোচ্চ দিনাজপুর বোর্ডে। সেখানকার ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের কেউই পাস করেনি। এরপর রাজশাহীর ৩৫টি, ঢাকার ৩৪টি প্রতিষ্ঠান, যশোরের ২০টি, ময়মনসিংহের ১৫টি, বরিশালের ১২টি, কুমিল্লার ৯টি, চট্টগ্রামের ৫টি, সিলেটের ৪টি এবং মাদ্রাসা বোর্ডে ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী এবার ফেল করেছে।

শতভাগ পাস করা ৩৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯৬টি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে। এছাড়া কারিগরি বোর্ডের ৬৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।

শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে শতভাগ পাসে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বোর্ড। এই বোর্ডের ২৫টি প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এরপর রাজশাহীতে ১৮টি, দিনাজপুরে ১১টি, চট্টগ্রামে ৮টি, যশোরে ৫টি, কুমিল্লায় ৫টি, সিলেটে ৩টি, ময়মনসিংহে ৩টি ও বরিশালে ২টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বোর্ড চেয়ারম্যানরা নিজেদের অফিসে বসে ফল প্রকাশ করেন। ঢাকায় সমন্বিত ফল প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৯৭ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।

২০২৪ সালে এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ; তাদের মধ্যে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল।