১০০০ সন্তানের পিতা দিয়েগো
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:৫৪, ২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৫৪, ২ অক্টোবর ২০২৫

দিয়েগোর বয়স এখন ১৩০ বছর। দীর্ঘ এই জীবনে সে জন্ম দিয়েছে ১০০০ সন্তান। এখন সে অবসর জীবন কাটাচ্ছে।
দিয়েগো একটি দৈত্যাকার কচ্ছপ। বিলুপ্তপ্রায় একটি প্রজাতি রক্ষায় বিরাট অবদান তার।
দিয়েগো যে প্রজাতির কচ্ছপ, তার বৈজ্ঞানিক নাম সেলোনয়ডিস হুডেনসিস। ইকুয়েডরের স্প্যানোলা দ্বীপেই এদের দেখা মেলে।
এখন থেকে ৬০ বছর আগে স্প্যানোলা দ্বীপে এই প্রজাতির ৮টি নারী কচ্ছপ ছিলো। কিন্তু এদের মধ্যে কোনো পুরুষ কচ্ছপ না থাকায় প্রজাতিটি বিলুপ্ত হতে যাচ্ছিলো। এদের প্রজাতি রক্ষায় ১৯৬৫ সালে দিয়েগো ও নারী কচ্ছপগুলোকে ধরে নেয়া হয় ইকুয়েডরের গালাপাগোসের শান্তাক্রুজ দ্বীপের সংরক্ষিত এলাকায়।
দিয়েগোকে সেখানে নেওয়ার পর এই প্রজাতির কচ্ছপের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বিশ্বে এখন এই প্রজাতির কচ্ছপ আছে মাত্র ২০০০। এদের মধ্যে একহাজারই দিয়েগোর সন্তান। অর্থাৎ শতকরা ৫০ শতাংশ কচ্ছপের বাবা দিয়েগো। তাই প্রাণিবিজ্ঞানীরা দৈত্যকার এই কচ্ছপটির নাম দিয়েছেন সেক্স মেশিন।
১৯০০ সাল থেকে ১৯৫৯ সালের মধ্যে নানা পরীক্ষার জন্য তাকে নেয়া হতো স্প্যানোলা দ্বীপে।
১৯৩৩ সালে প্রজনন কর্মসূচীর আওতায় দিয়েগোকে রাখা হয় ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো চিড়িয়াখানায়।
দৈত্যকার কচ্ছপটি লম্বায় ৫ ফুট এবং ওজন ৮০ কেজি। টানা ৯২ বছর লাগাতার সন্তান জন্ম দিয়ে এখন স্প্যানোলা দ্বীপে অবসর জীবন কাটাচ্ছে দিয়েগো। ইতোমধ্যেই দিয়েগোর নাম উঠেছে গিনেস বুক অব ওয়ার্লড রেকর্ডসে!
দৈত্যাকার কাছিম যৌনমিলনের পর বাড়ি ফিরে এলেও সে তার প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
১৯৬০-এর দশকে প্রজাতিটিকে বিপন্ন ঘোষণার পর এদের রক্ষার জন্য চার্লস ডারউইন গবেষণা কেন্দ্রে দিয়েগোকে রাখা হয়েছিলো।
সান দিয়েগো চিড়িয়াখানার প্রজনন কর্মসূচিতে ৩০ বছর কাটানোর পর ১৯৭৭ সালে ইকুয়েডরে ফিরে আসে দিয়েগো। তারপর সে চার্লস ডারউইন গবেষণা কেন্দ্রে তার সহকর্মী কাছিমদের সাথে যোগ দেয়।
প্রজনন কর্মসূচির আওতায় এদের সংখ্যা ৮ থেকে ২০০০-এ দাঁড়ালেও আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ ইউনিয়নের লাল তালিকায় এটি এখনও বিপণ্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত।