প্যাসিফিক গ্রুপের ৮ কারখানা বৃহস্পতিবার খুলছে
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:০৪, ২২ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া প্যাসিফিক গ্রুপের আটটি পোশাক কারখানা বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে পুনরায় চালু হচ্ছে। দীর্ঘ ছয় দিন বন্ধ থাকার পর এ সিদ্ধান্তে প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিকের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
প্যাসিফিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশে কারখানা খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। নোটিশে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে ১৬ অক্টোবর থেকে কারখানার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ২৩ অক্টোবর থেকে পুনরায় উৎপাদন শুরু করা হচ্ছে।’
সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিককে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নিজ নিজ বিভাগে উপস্থিত থেকে শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে উৎপাদন কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যে আটটি কারখানা খুলছে
১. প্যাসিফিক জিন্স–১
২. প্যাসিফিক জিন্স–২
৩. প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস
৪. প্যাসিফিক অ্যাক্সেসরিজ
৫. প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যারস
৬. ইউনিভার্সেল জিন্স
৭. এইচটি ফ্যাশন
৮. জিন্স ২০০০
প্যাসিফিক গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার সুহৃদ চৌধুরী বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। কাজের পরিবেশ ফিরেছে, তাই মালিকপক্ষ উৎপাদন পুনরায় শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
গত ৯ অক্টোবর পুলিশের হয়রানির অভিযোগে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। পরে ১৪ অক্টোবর থেকে ফের বিক্ষোভ শুরু হয় এবং ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত তা চলতে থাকে। এ সময় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ ১৬ অক্টোবর রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, শ্রমিকদের এ ধরনের আচরণ ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯’ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘট হিসেবে গণ্য। ফলে কারখানা চালু রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ায় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, ‘কারখানা খোলার চিঠি হাতে পেয়েছি। বৃহস্পতিবার থেকে উৎপাদন শুরু হবে। কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেপজা কার্যালয়ে বুধবার সকালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’