প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর জামায়াত নেতা মো. তাহের
গণভোট আগে না হলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:০১, ২২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:৪৪, ২২ অক্টোবর ২০২৫

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন,“জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।”
বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. তাহের বলেন,“গণভোটে বিএনপি রাজি হলেও তারা নির্বাচনের দিনই ভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করছে। আসলে মৌলিক বিষয় হলো গণভোট—এর সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপি জনচাপের মুখে রাজি হয়েছে, কিন্তু কৌশলে প্যাঁচ লাগিয়ে রেখেছে।”
তিনি বলেন, জামায়াতের অবস্থান স্পষ্ট—নভেম্বরের শেষের দিকে গণভোট হতে হবে, এরপর পর্যাপ্ত সময় রেখে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।
নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের প্রস্তাবকে ‘আইনগত জটিলতার পথ’ বলে মন্তব্য করেন তাহের।
তিনি বলেন,“গণভোটের দিনই নির্বাচন হলে সাংবিধানিক ও আইনি সমস্যার সৃষ্টি হবে। দেশের কল্যাণের জন্য কিছু অতিরিক্ত ব্যয় হলেও গণভোট আগে করা ছাড়া বিকল্প নেই।”
নির্বাচনে সমান প্রতিযোগিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেইং ফিল্ড) নিশ্চিতে প্রশাসনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন,“প্রশাসন ও পুলিশের অন্তত ৭০ শতাংশ কর্মকর্তা একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি অনুগত। এ অবস্থায় নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়,”
তিনি আরও বলেন,“জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করে সেই সনদের আলোকে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছি। সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে সরকারের নির্বাহী আদেশের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন,“এ নিয়ে আলাদা আলোচনা না হলেও আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করতে পারে।”
প্রসঙ্গত, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সংগঠনের মধ্যে সংলাপ চলছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বুধবার দিনভর একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।