আ.লীগের সাবেক এমপি আ স ম ফিরোজসহ স্ত্রী-পুত্রের বিরুদ্ধে দুদকের ম
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:১৬, ২২ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, তার স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও ছেলে রায়হান শাকিবের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক তানভীর আহমদ বাদী হয়ে এই মামলাগুলো দায়ের করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আ স ম ফিরোজ কারাগারে রয়েছেন বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, সরকারি উচ্চপদে দায়িত্ব পালনের সময় আ স ম ফিরোজ ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
মোট বৈধ আয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় ৫ কোটি ৯০ লাখ এবং বৈধ সঞ্চয় ৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কিন্তু তাঁর দখলে পাওয়া সম্পদের পরিমাণ ১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, যা আইন অনুযায়ী অপ্রকাশিত উৎস থেকে এসেছে বলে দুদক জানিয়েছে।
এই অপরাধ দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদকের দ্বিতীয় মামলায় আ স ম ফিরোজের স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানার বিরুদ্ধে ১ কোটি ১ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, তার বৈধ আয় ছিল ৬৮ লাখ ১১ হাজার টাকা এবং ব্যয় ছিল ১৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ বৈধ সঞ্চয় দাঁড়ায় ৫০ লাখ টাকা, অথচ তার নামে সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা—অতিরিক্ত ১ কোটি ১ লাখ টাকার উৎস তিনি ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
তৃতীয় মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন তাদের বড় ছেলে রায়হান শাকিব।
দুদক বলছে, তার বৈধ আয় ছিল ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ব্যয় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, বৈধ সঞ্চয় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু তার নামে থাকা সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ অতিরিক্ত ৪ কোটি ২১ লাখ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই এই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।