এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলা
যুবদলের আরও দুই নেতাকে শোকজ
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫:০৪, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় এবার মহানগর যুবদলের শীর্ষ দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদল।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত চিঠিতে ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি এম এম ইউসুফ ও সাধারণ সম্পাদক আলী রেজোয়ান বিশ্বাসকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকেও তারা কার্যক্রমে শৈথিল্য প্রদর্শন করেছেন, যার ফলে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। তাই কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না— সে বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের সামনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
এর আগে একই ঘটনায় সোমবার জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনকেও কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে শোকজ করা হয়।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ কে আজাদ ফরিদপুর সদরের পরমান্দপুর বাজারে গণসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে একটি মিছিল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
মিছিলকারীরা এ কে আজাদকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ বলে স্লোগান দিতে থাকে এবং ‘অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ বলে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
মিছিলে অংশ নেওয়া একজনের কাছে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী নায়াব ইউসুফের পোস্টারও দেখা যায়। একপর্যায়ে উত্তেজিত যুবদল কর্মীরা এ কে আজাদের বহরের শেষের দুটি গাড়িতে আখ ছুড়ে মারে ও কাচ ভাঙচুর করে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপি ও যুবদলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব দিন দিন তীব্র হচ্ছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ের মনোনয়ন প্রতিযোগিতা ও স্থানীয় নেতৃত্বের অস্বচ্ছন্দ সম্পর্কই এমন সংঘাতের পেছনে অন্যতম কারণ বলে তারা মনে করেন।