শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

| ১ কার্তিক ১৪৩২

ক্যাম্পের বাইরে ভাড়া বাসায় রোহিঙ্গাদের বসবাস

 ১৩ রোহিঙ্গা ও ২ বাংলাদেশি আশ্রয়দাতা আটক

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া-টেকনাফ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫:২২, ৭ অক্টোবর ২০২৫

 ১৩ রোহিঙ্গা ও ২ বাংলাদেশি আশ্রয়দাতা আটক


কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে অবৈধভাবে বসবাস করা ১৩ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১৫)। একই সঙ্গে আশ্রয়দানকারী দুই বাংলাদেশিকেও আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বাড়ির মালিক এবং অপরজন কেয়ারটেকার।


আটককৃতরা হলেন টেকনাফ পৌরসভার কে কে পাড়ার বাসিন্দা ও বাড়ির মালিক মৃত ওমর হামজার ছেলে আব্দুল্লাহ (২৭) এবং মৃত হাসান শরীফের ছেলে মো. ফয়াজ (৬৫)। তাদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


র‍্যাব-১৫ সূত্রে জানা গেছে, আটক রোহিঙ্গারা সবাই উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে তালিকাভুক্ত। তারা সরকারের দেওয়া মানবিক সহায়তা, খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুবিধা নিয়মিত গ্রহণ করছিলেন, অথচ দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পের বাইরে শহরের ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।


গত ৬ অক্টোবর (সোমবার) গভীর রাতে টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কে কে পাড়ায় অবস্থিত ‘আব্দুল্লাহ ম্যানশন’ নামের একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। র‍্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক আ. ম. ফারুক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।


র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শহরের ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন এবং আশ্রয়দাতারা তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পাচ্ছিলেন।


নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্যাম্পের বাইরে রোহিঙ্গাদের এভাবে বসবাস করা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা পরিচয় গোপন রেখে সমাজে মিশে গিয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি এবং সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোহিঙ্গাদের অবৈধ চলাফেরা ও ক্যাম্পের বাইরে বসবাস রোধে নিয়মিত তল্লাশি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি যারা রোহিঙ্গাদের গোপনে আশ্রয় দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের গোপন বসবাস এলাকায় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। তারা প্রশাসনের তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আরও কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।
 

আরও পড়ুন