সৈকতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে পরিবেশবাদীদের স্মারকলিপি
উখিয়া-টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:০৮, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০০:৫৬, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে অবৈধভাবে নির্মিত দোকানপাট, ঝুপড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস)’।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ইয়েস-এর প্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নানের হাতে স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করেন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রমিজ উদ্দিন, চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক, প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম মাহমুদ এবং যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হেনা মোস্তফা প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সৈকতের বালিয়াড়িতে শতাধিক দোকান ও স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এসব স্থাপনা সৈকতের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশব্যবস্থার ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। এমনকি আইন ও বিধি-বহির্ভূতভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু দোকানের লাইসেন্সও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী ইসিএ এলাকায় কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সরকার ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্রসৈকতকে ইসিএ হিসেবে ঘোষণা করে, এবং পরবর্তীতে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টও সৈকতে স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেন।
ইয়েস-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, জনস্বার্থে সৈকতের বালিয়াড়ি দখলমুক্ত করে অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং সৈকতে ব্যবসা পরিচালনার সব লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়।