নগর উন্নয়নে দুই প্রকল্পে এডিবির ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ
প্রকাশ: ১২:৪২, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
শহর ও নগর উন্নয়নের চলমান প্রচেষ্টাকে আরও গতিশীল করতে বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নের পরিকল্পনা করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২৭ সালে বাংলাদেশে ‘ক্লাস্টার টাউন পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন’ এবং ‘তৃতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পে’ এই অর্থ বিনিয়োগ করা হবে।
উপকূলীয় শহরগুলোয় পানি ও স্যানিটেশন প্রকল্প
ডিপিএইচই (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর) বাস্তবায়ন করবে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের ক্লাস্টার টাউনস ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ২২টি উপকূলীয় শহরে টেকসই পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করা হবে।
বর্তমানে এসব শহরের অবকাঠামো ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত সমীক্ষা চলছে, যেখানে পানির উৎস, পরিশোধন সুবিধা, বিতরণ নেটওয়ার্ক এবং বর্জ্য ব্যবস্থার মান যাচাই করা হচ্ছে।
৩য় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প
আরও ১৫০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে তৃতীয় সিটি রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, যার দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
এই প্রকল্পে ময়মনসিংহ সিটি রিজিয়ন (এমসিআর) ও রাজশাহী সিটি রিজিয়ন (আরসিআর)-কে অর্থনৈতিক কাউন্টার-ম্যাগনেট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো টেকসই নগর অবকাঠামো ও দুর্যোগ-সহনশীল শহর গঠন। এর আওতায় থাকবে আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সড়ক ও বাজার উন্নয়ন, কমিউনিটি মার্কেট, বাস টার্মিনাল নির্মাণ এবং পৌর প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি।
পটুয়াখালী ও খুলনার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সময় এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন,“সিটি রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই চলছে। এটি প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ, এবং আমরা সরকারের সঙ্গে পরবর্তী ধাপ নিয়ে কাজ করছি।”
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, এডিবি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বহুপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংস্থাটি ২.৫২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে এবং আরও ২.০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বর্তমানে এডিবির চলমান প্রকল্প পোর্টফোলিওর পরিমাণ প্রায় ১১.৮ বিলিয়ন ডলার, যার আওতায় ৫১টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন।
১৯৭৩ সাল থেকে এডিবি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, স্থানীয় সরকার, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন খাতে মোট ৩৩.৯৫১ বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ৫৭১.২ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে।
