৩১ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসছে নির্বাচন কমিশন
প্রকাশ: ১৫:০৩, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:০৭, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের ভূমিকা স্পষ্ট করাই এই সভার মূল উদ্দেশ্য।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, মোট ৩১টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট সচিব, মহাপরিচালক ও চেয়ারম্যানরা উপস্থিত থাকবেন। নির্বাচন পরিচালনায় প্রশাসনিক, কারিগরি ও নিরাপত্তা সমন্বয় নিশ্চিত করতে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হবে।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা অধিদপ্তরের কারা মহাপরিদর্শকও সভায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
ইসির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, 'প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। কেউ যেন দায়িত্ব এড়িয়ে না যায় বা কাজের পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই উদ্দেশ্যেই সবাইকে একত্রে বসানো হচ্ছে।'
সভায় তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটকেন্দ্র প্রস্তুতকরণ, নির্বাচনী সামগ্রী পরিবহন, ডাকযোগে ভোটের ফলাফল পাঠানো, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, ঋণখেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, পোস্টাল ব্যালট, প্রবাসী ভোটারদের ভোটের ব্যবস্থা এবং প্রচারসংক্রান্ত আচরণবিধি বাস্তবায়নের বিষয়গুলো আলোচিত হবে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, 'নির্বাচন আয়োজন একটি জটিল প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। এখানে বহু সংস্থা জড়িত। আগেভাগেই দায়িত্ব বণ্টন স্পষ্ট করা গেলে তফসিল ঘোষণার পর কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া যাবে।' তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচন কমিশন এখন প্রস্তুতির শেষ ধাপে আছে। প্রশাসনিক ও কারিগরি দিক থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'
ইসি সূত্র জানায়, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। এর আগে মাঠ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রাথমিক নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী জানুয়ারিতে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সেই সময়সীমা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন এখন পূর্ণ উদ্যমে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবারের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পর তফসিল ঘোষণার সময়সূচি নিয়ে কমিশনের একটি বৈঠক হতে পারে বলে জানা গেছে।
