ড. আইনুন নিশাত
প্রকাশ: ১২:০৭, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং অতিব্যবহার সীমিত করতে হবে—এমন আহ্বান জানিয়ে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেছেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করাই এখন সময়ের দাবি।”
রবিবার সন্ধ্যায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় ইনস্টিটিউট অব ক্লাইমেট চেঞ্জ, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি (আই.সি.সি.ই.এস)-এর উদ্বোধন ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু কার্যক্রম দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল থিম ছিল—“টেকসই ভবিষ্যতের জন্য যুব সম্পৃক্ততা”।
প্রধান অতিথি ড. আইনুন নিশাত তার বক্তব্যে বলেন,“যুব সমাজই টেকসই উন্নয়নের চালিকা শক্তি। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে পরিণত করতে তরুণদের নেতৃত্ব ও গবেষণায় যুক্ত করতে হবে।”তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা ছাড়া টেকসই ভবিষ্যৎ সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আই.সি.সি.ই.এস-এর চেয়ারম্যান ইঞ্জি. শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন।
বক্তব্য রাখেন—গবেষক ড. হাসিব মো. ইরফানুল্লাহ,ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং-এর সিনিয়র গবেষক ড. আনোয়ার জাহিদ,অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ইউএন উইং চিফ একেএম সোহেল ও জেনল্যাব-এর নির্বাহী পরিচালক রাতুল দেব প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু অভিযোজন, প্রশমন, অর্থায়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও আনুগত্য—এই সাতটি ক্ষেত্রে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
তাঁদের মতে, “জলবায়ু সমন্বয়ের জন্য বিশেষ বাজার খুঁজে বের করতে হবে, গবেষণা ও নীতি-সংলাপের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে।”
সেমিনারে শিক্ষার্থী, গবেষক ও জলবায়ু কর্মীরা অংশ নেন। আলোচনায় উঠে আসে, তরুণদের অংশগ্রহণই জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ গঠনের চাবিকাঠি।
নবগঠিত আই.সি.সি.ই.এস জলবায়ু গবেষণা, নীতি-সংলাপ, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও যুবনেতৃত্বাধীন উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করবে।
