খ্রিস্টান হত্যার অভিযোগ
নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযানের হুমকি ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:৫১, ৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৯:৫৯, ৩ নভেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টান হত্যার অভিযোগে দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের হুমকি দিয়েছেন।
এপি নিউজের বরাতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, নাইজেরিয়া সরকার এসব হত্যাকাণ্ড রোধে ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত ও কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। এ সময় তিনি প্রতিরক্ষা দপ্তরকে সামরিক পদক্ষেপের পরিকল্পনা শুরু করার নির্দেশ দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘যদি নাইজেরিয়া সরকার খ্রিস্টান হত্যাকাণ্ড চলতে দেয়, যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে সে দেশে দেওয়া সব ধরনের সাহায্য ও সহায়তা বন্ধ করবে এবং প্রয়োজনে সামরিকভাবে সেখানে হস্তক্ষেপ করবে। এটি হবে দ্রুত, কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ।’
রবিবার সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি নাইজেরিয়ায় মার্কিন সেনা পাঠানোর কথা ভাবছেন, নাকি আকাশপথে সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছেন?
জবাবে ট্রাম্প সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, ‘হতে পারে।’ এরপর তিনি যোগ করেন, ‘তারা খ্রিস্টানদের হত্যা করছে এবং তা ব্যাপক আকারে ঘটছে। আমরা সেটি ঘটতে দেব না।’
তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু বলেন, দেশটিকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
তিনি এক বিবৃতিতে জানান, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতা আমাদের জাতীয় পরিচয়ের মূল অংশ। নাইজেরিয়া সব ধর্মের মানুষের সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো ধরনের ধর্মীয় নিপীড়নকে প্রশ্রয় দেয় না।’
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিমিইবি এবিয়ানফা বলেন, সরকার জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমেরিকার মতো নাইজেরিয়াও বৈচিত্র্যের মধ্য দিয়েই শক্তি অর্জন করেছে।
নাইজেরিয়ার ২২ কোটি জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মুসলিম ও অর্ধেক খ্রিস্টান। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন উগ্রপন্থী গোষ্ঠী বিশেষ করে বোকো হারামের মতো সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। এ গোষ্ঠী কেবল খ্রিস্টান নয়, মুসলমানদেরও লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে থাকে, যাদের তারা অসম্পন্ন মুসলিম বলে মনে করে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র নাইজেরিয়াকে ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল। তবে ২০২৩ সালে সেই তালিকা থেকে দেশটিকে সরিয়ে নেওয়া হয় কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে।
