সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

| ৫ কার্তিক ১৪৩২

আবারও প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ার ঘোষণা নেতানিয়াহুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১০:৩৯, ২০ অক্টোবর ২০২৫

আবারও প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ার ঘোষণা নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় চ্যানেল ১৪–এর এক সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি ২০২৬ সালের নভেম্বরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন? জবাবে আত্মবিশ্বাসী নেতানিয়াহু বলেন, “হ্যাঁ।”
ডানপন্থি লিকুদ পার্টির নেতা নেতানিয়াহু ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ক্ষমতায় ছিলেন, এবং ২০২২ সাল থেকে আবারও দায়িত্ব পালন করছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ বছরের বেশি সময় ইসরায়েল শাসন করেছেন তিনি—যা দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে সর্বাধিক।
২০২২ সালের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন লিকুদ পার্টি ৩২টি আসন পায়। অর্থডক্স মিত্ররা ১৮টি এবং ফার–রাইট ধর্মীয় জায়নিস্ট জোট ১৪টি আসন দখল করে।

বর্তমান মেয়াদের শুরুতেই নেতানিয়াহুর সরকার বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনা নিয়ে তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। ইসরায়েলের হাজারো নাগরিক মাসের পর মাস রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে।

তারপর আসে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামাস হামলা। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নেতানিয়াহুর প্রতি দেশজুড়ে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে যুদ্ধের ধরন ও জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে নিহতদের পরিবারগুলো তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে।

শনিবার রাতভর তেলআবিব ও জেরুজালেমে নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ হয়। হাতে ব্যানার–প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নামে। তাদের অভিযোগ, ২০২৩ সালের অক্টোবরের হামলার দায় এড়াতে পারেন না নেতানিয়াহু।

প্রতিবাদকারীরা ঘোষণা দেন—প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কেউ কেউ নিহত জিম্মিদের মরদেহ ফিরিয়ে আনার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপও চান।

ইসরায়েলের রাজনীতিতে নেতানিয়াহু এখনও এক প্রভাবশালী ও বিভাজনসৃষ্টিকারী চরিত্র। বিচার সংস্কার বিতর্ক, যুদ্ধ পরিচালনায় ব্যর্থতার অভিযোগ ও ক্রমবর্ধমান জনঅসন্তোষ—সবকিছুর মাঝেও তিনি আবারও ক্ষমতায় ফেরার আশাবাদী।

২০২৬ সালের নির্বাচনে তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ করবে ইসরায়েলের জনগণ।

সম্পর্কিত বিষয়:

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন