মার্কিন শান্তি চুক্তিতে হামাস-ইসরায়েলের স্বাক্ষর
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:৩৭, ৯ অক্টোবর ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত গাজা চুক্তির প্রথম ধাপের স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘আমি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ইসরায়েল-হামাস উভয়েই আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে দ্রুতই সমস্ত বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েল তাদের সেনাকে নির্ধারিত সীমারেখায় প্রত্যাহার করবে। এটি এক শক্তিশালী, স্থায়ী ও চিরস্থায়ী শান্তির প্রথম পদক্ষেপ।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, সব পক্ষের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করা হবে। তিনি মুহূর্তটিকে আরব ও মুসলিম বিশ্বের জন্য, ইসরায়েল, আশেপাশের দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বৃহৎ দিন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ট্রাম্প তুরস্কসহ সব মধ্যস্থতাকারীকে ধন্যবাদ জানান, যারা ঐতিহাসিক এই ঘটনা বাস্তবায়নে কাজ করেছেন।
এর আগে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি সম্ভবত সপ্তাহান্তে মিশরে সফর করবেন। গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা ইতিবাচক চিহ্ন দেখাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘আমি হয়তো সপ্তাহের শেষে, সম্ভবত রবিবার সেখানে যাব। আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি সম্ভব।’
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা মিশরে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। আলোচনায় যুক্ত ছিলেন মার্কো রুবিও, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার, তুর্কি গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি, মিশরের গোয়েন্দা প্রধান হাসান রাশাদ এবং ইসরায়েলের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী রন ডারমার।
চুক্তির ২০ দফা বিষয়ক পরিকল্পনা ২৯ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি, যুদ্ধবিরতি এবং হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ। হামাস প্রাথমিকভাবে এ পরিকল্পনাকে মান্য করেছে।
গত অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ৬৭ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন, যেখানে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া অঞ্চলটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।
