নাসা প্রধানকে মাস্ক, তিনি কাজের জন্য যথেষ্ট বুদ্ধিমান নন
বিজ্ঞান ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:১২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
নাসার প্রধান প্রশাসককে নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা বিলিয়নিয়ার এলন মাস্ক। তার দাবি, ওই ব্যক্তি এতটা বুদ্ধিমান নন যে, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য হবেন।
এই আক্রমণ আসে ঠিক তখনই, যখন নাসা ঘোষণা দেয়—চাঁদে নামার জন্য তারা আর শুধু স্পেসএক্সের তৈরি ‘স্টারশিপ’ রকেটের ওপর নির্ভর করবে না, বরং অন্যান্য কোম্পানির প্রস্তাবও গ্রহণ করবে।
এরপরই এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ মাস্ক লিখেছেন,“এই ব্যক্তি আমেরিকার মহাকাশ কর্মসূচিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন।আমেরিকার মহাকাশ কর্মসূচির দায়িত্ব যার হাতে, তার আইকিউ যদি দুই অঙ্কের হয়, তা মেনে নেওয়া যায় না।”
নাসার পরিকল্পনা ও চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা
নাসা মূলত স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে চাঁদের পৃষ্ঠে মহাকাশচারীদের নামাতে চাচ্ছিল। কিন্তু এখন থেকে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থার কাছ থেকেও প্রস্তাব নেওয়া হবে।
এজেন্সির লক্ষ্য হলো—ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদকালেই আবার চাঁদে মানুষ পাঠানো, এবং তা যেন চীনের আগে ঘটে।
নাসা প্রশাসক শন ডাফি সিএনবিসিতে কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,“আমরা একটি কোম্পানির জন্য অপেক্ষা করব না। আমরা এই প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং চীনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মহাকাশ দৌড়ে জয়ী হব।”
স্পেসএক্সের বর্তমানে ২.৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২.২ বিলিয়ন পাউন্ড) মূল্যের আর্টেমিস-৩ মিশনের চুক্তি রয়েছে। তবে কোম্পানিটি সময়সূচির পেছনে পড়ে গেছে—কারণ এ বছর তাদের স্টারশিপ একাধিকবার বিস্ফোরিত হয়েছে।
এসব ব্যর্থতার পরও মাস্ক নিজের কোম্পানিকে রক্ষা করে লিখেছেন, “স্পেসএক্স মহাকাশ শিল্পের বাকি অংশের তুলনায় বজ্রগতিতে এগোচ্ছে। শেষ পর্যন্ত পুরো চাঁদ মিশন স্টারশিপই সম্পন্ন করবে—আমার কথা মনে রাখবেন।”
নাসা প্রধানের ডাফি পাল্টা জবাবে বলেন, উৎসাহ ভালো লাগছে। চাঁদে পৌঁছানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে!ভালো কোম্পানিগুলো কখনোই চ্যালেঞ্জকে ভয় পায় না।
যখন আমাদের উদ্ভাবকেরা একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে, তখন আমেরিকাই জেতে।”
শন ডাফি বর্তমানে নাসার অ্যাক্টিং (ভারপ্রাপ্ত) প্রশাসক, যদিও সূত্র বলছে তিনি স্থায়ীভাবে এ পদটি ধরে রাখতে চান।
অন্যদিকে, মাস্ক প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন বিলিয়নিয়ার জ্যারেড আইজ্যাকম্যানকে, যিনি স্পেসএক্সের দুটি ব্যক্তিগত মিশনে ইতিমধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণ করেছেন।
