শেখ হাসিনার রায় ঘিরে আতঙ্ক—নৈরাজ্যের আশঙ্কা দেখছেন ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:০০, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আগামীকাল কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা বহুল আলোচিত ‘গণহত্যা মামলার’ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সারাদেশেই উদ্বেগ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন—“ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার ট্রায়ালের রায় কাল ঘোষণা হবে। এ নিয়ে দেশে চরম অনিশ্চয়তা, এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
একটি মহল আবারও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে—এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”
বর্তমান পরিস্থিতিকে বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, দেশের রাজনীতি এখন এক ধরনের কনফিউজ পলিটিক্স-এর মধ্যে পড়ে গেছে। এমন সব ঘটনা ঘটছে যা অতীতে বাংলাদেশ কখনও প্রত্যক্ষ করেনি।
তিনি বলেন—“এগুলো বাংলাদেশের আত্মা নয়, সোল নয়। পুরো দেশ একটি জটিল সংকটের মধ্যে রয়েছে।”
ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নামে যারা এসেছে, তারা রাজনৈতিক কাঠামোকে নতুনভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছে।
তবে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন—“এটি জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না—তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যায় না।”
সংকট উত্তরণের উপায় হিসেবে নির্বাচনকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা বারবার বলেছি—নির্বাচনই একমাত্র পথ। হতাশা ও অনিশ্চয়তার মাঝেও একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে যে ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হতে পারে।”
তার অভিযোগ, কিছু গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে নির্বাচন ব্যাহত বা বিলম্বিত করতে চায়।
“দেশের মানুষ এখন একটি নির্বাচিত সরকার চায়—যার পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে।”
ফখরুল বলেন,“অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অবনতিশীল। নির্বাচিত সরকার না থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
আগামীকালের রায়কে কেন্দ্র করে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন—“একটি মহল আবারও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে। ছাত্রদের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা যেন নষ্ট না হয়—আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।”
মওলানা ভাসানীর আদর্শ স্মরণ করে ফখরুল বলেন—“সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাচ্ছি—আসুন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হই।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন মওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতসহ আরও অনেকে।
