মওলানা ভাসানী আমাদের অনন্ত প্রেরণা:তারেক রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:১২, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের ইতিহাসে মওলানা ভাসানী এক অনন্ত প্রেরণার নাম। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তাঁর আপসহীন অবস্থান আজও আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামকে শক্তি জোগায়।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) দেওয়া বাণীতে তারেক রহমান বলেন, “অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।”
তিনি উল্লেখ করেন, মওলানা ভাসানীর অগাধ দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি অকৃত্রিম মমত্ববোধ এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদী অবস্থান যুগ যুগ ধরে রাজনীতির সব শাখাকে পথ দেখিয়েছে।
তিনি বলেন,“তার আদর্শকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলেই আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো।”
তারেক রহমান আরও বলেন, মওলানা ভাসানী শুধু একটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন—তিনি ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তানি দমন–পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত উচ্চকণ্ঠ ছিলেন তিনি। সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সাহসী অবস্থান তাঁকে উপমহাদেশের নিপীড়িত মানুষের আসল কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং কৃষক–শ্রমিক–মেহনতি মানুষের অধিকারের প্রশ্নে মওলানা ভাসানীর ভূমিকা ছিল পথপ্রদর্শক। তিনি ছিলেন শোষণের বিরুদ্ধে হুংকারধারী এবং শোষিত মানুষের নির্ভরতার প্রতীক।
“জাতির ভয়াবহ দুর্দিনে তিনি জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলেই মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন,” বাণীতে উল্লেখ করেন তারেক রহমান।
বিএনপি নেতৃত্বের মন্তব্য—বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় মওলানা ভাসানীর আদর্শ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ তিনি সব সময় রাষ্ট্রক্ষমতার অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বজ্রকণ্ঠে কথা বলেছেন, যা আজকের রাজনৈতিক প্রজন্মের জন্যও প্রেরণার উৎস।
তারেক রহমান বলেন, মওলানা ভাসানীর নির্ভীক নেতৃত্ব, হুংকার ও জনগণমুখী অবস্থান আধুনিক বাংলাদেশে গণতন্ত্রচর্চার পথকে আলোকিত করে যাবে।
