আদানির বিদ্যুতের ৩৪% কেন কিনবে বাংলাদেশ?—প্রশ্ন রিজভীর
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫:২৯, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের আদানি গ্রুপের ঝাড়খণ্ড প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি বাংলাদেশকে কিনতে বাধ্য করার চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডে আদানির উৎপাদিত বিদ্যুতের ৩৪ শতাংশ কেন বাংলাদেশকে কিনতে হবে? এটি পুরোপুরি দেশের স্বার্থবিরোধী ও জনগণের উপর আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত।”
রবিবার পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে রিজভী এ মন্তব্য করেন। এলাকায় অসহায় এক বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবনযাপনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তিনি তাদের বাড়িতে গিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
রিজভী দাবি করেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে একাধিক অসম চুক্তি করা হয়েছিল। তিনি বলেন,“শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার জনগণের স্বার্থকে উপেক্ষা করে বিদেশি কোম্পানির সুবিধা নিশ্চিত করেছে। আদানি বিদ্যুৎ চুক্তি তার বড় উদাহরণ। দেশের বিদ্যুৎব্যবস্থার ওপর অস্বাভাবিক নির্ভরতা তৈরি করা হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “বন্দরের মতো কৌশলগত স্থাপনাও বিদেশি অপারেটরদের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ ছিল। এতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারত।”
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে রিজভী বলেন,“আমরা এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা রাখি। তবে অতীতের যেসব স্বার্থবিরোধী চুক্তি হয়েছে—সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।”
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আগের সরকারের নানা সিদ্ধান্ত, দমন-পীড়ন ও অস্বচ্ছ চুক্তিগুলোর কারণে জনগণের জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছিল।
তিনি বলেন,“মানুষ সেই কারণেই পরিবর্তন চেয়েছে। এখন দায়িত্ব বর্তমান সরকারের—দেশের স্বার্থে সব সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করা।”এ সময় জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
