১০৮৯ মাদ্রাসা এমপিও করার আশ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:১৭, ২ নভেম্বর ২০২৫
আন্দোলনরত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকরা। ছবি: সংগৃহীত
পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকরা সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীতে ফের বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক থেকে সরে গেছেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন।
এর আগে দুপুরে শিক্ষকরা ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের উদ্দেশে যাত্রা করলে কদম ফোয়ারা এলাকায় পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। সেখানেই তারা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আলোচনার পর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, “আমাদের পাঁচটি দাবি মেনে নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্যে একটি দাবি সোমবার স্বাক্ষর হবে। এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল সোমবার অনুমোদন হবে বলে জানানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “দুপুর থেকে শিক্ষকরা সড়ক অবরোধে ছিলেন। জনভোগান্তির দায় রাষ্ট্রের। আমরা কর্মসূচি শুরুর পরই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগে নিলে জনদুর্ভোগ হতো না।”
অন্যদিকে, আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম বলেন, “সোমবার আমরা বিক্ষোভ মিছিল করব। তবে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।”
এবতেদায়ী শিক্ষকদের দাবিগুলো হল-
১. ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোর জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন।
২. এমপিওভুক্তির জন্য পাঠানো ১০৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল অনুমোদন।
৩. অনুদানহীন স্বীকৃত মাদ্রাসাগুলোর এমপিও আবেদনের সুযোগ দেওয়া।
৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি।
৫. ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জন্য আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
ইবতেদায়ী শিক্ষকরা জানান, ইসলামি ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে গঠিত আলিয়া মাদ্রাসা পদ্ধতির এই ইবতেদায়ী স্তর ১৯৮৪ সালে চালু হয়। প্রায় চার দশক পরও এসব মাদ্রাসার শিক্ষকরা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
তারা বলছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ১৯৭৩ সাল থেকে জাতীয়করণের আওতায় এলেও ইবতেদায়ী শিক্ষকরা এখনও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন। এক পর্যায়ে ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক ইবতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। তবে সেই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের গতি না থাকায় শিক্ষকরা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।
