বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

| ১ কার্তিক ১৪৩২

সাত কলেজ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপ: শিক্ষা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫:৫৩, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

সাত কলেজ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপ: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার জানিয়েছেন, রাজধানীর সাত কলেজকে নিয়ে বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। তিনি বলেন, “সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ও ভুল তথ্য প্রচার হওয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, যা মোটেই কল্যাণকর নয়।”

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় শিক্ষাসচিব রেহেনা পারভীনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক আবরার বলেন, “বাস্তবতার প্রেক্ষিতে সাত কলেজ নিয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মানসম্মত শিক্ষা, সময়মতো পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ নিশ্চিত করা—এজন্যই আমরা বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পথে এগোচ্ছি।”

তিনি আরও জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আসার পর থেকেই সাত কলেজে প্রশাসনিক জটিলতা ও পরীক্ষা-ফল প্রকাশে বিলম্বের সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন,“ইউজিসি থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, এসব বৈঠকের লিখিত ও অডিও রেকর্ড রয়েছে। কারা অংশ নিয়েছেন, কোন প্রতিষ্ঠান ও পেশার প্রতিনিধিরা ছিলেন—সব নথিবদ্ধ আছে,” 

অধ্যাপক আবরার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ইউজিসি একটি প্রাথমিক খসড়া আইন তৈরি করে দিয়েছে, যা এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। অনলাইনে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মতামত পাওয়া গেছে; পাশাপাশি লিখিতভাবে আরও বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ সংগ্রহ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আগামী ২০, ২১ ও ২২ অক্টোবর মতামত পর্যালোচনার জন্য ধারাবাহিক সভা হবে। এরপর আলোচনা শেষে আইন মন্ত্রণালয়ে ড্রাফট পাঠানো হবে ভেটিংয়ের জন্য।”

সি আর আবরার জোর দিয়ে বলেন, “এই প্রক্রিয়ায় কোনো গাফিলতি বা বিলম্ব করা হচ্ছে না। আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। মিডিয়া ও সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত, কারণ নানা গ্রুপ থেকে ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা শিক্ষা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।”

তিনি আরও বলেন, “এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং কাজ, তবে আমরা নিয়ম-নীতি মেনে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছি। স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”

আরও পড়ুন