নতুন পোশাকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩:৩৬, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
নতুন পোশাকে পুলিশ, ছবি সমাজকাল
কার্যক্রম-নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা শাটডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে পুলিশ আজ সকাল থেকেই কঠোর নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে। নগরীর বিভিন্ন প্রবেশপথ—বায়েজিদ, সিটি গেট, রাঙ্গামাটি রোড, শাহ
আমানত ব্রিজ এলাকা, কর্ণফুলী ব্রিজ সংলগ্ন চেকপোস্টসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নতুন পোশাকে পুলিশ সদস্যদের টহল, তল্লাশি ও পরিচয় যাচাই করতে দেখা গেছে।
বিশেষ করে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, ছোট ট্রাক ও যাত্রীবাহী পরিবহনে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। নাশকতা রোধ এবং বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পুলিশের প্রতিটি ইউনিটকে ‘হাই অ্যালার্ট’ অবস্থায় রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন,“শাটডাউনকে কেন্দ্র করে নাশকতা বা ভাঙচুরের আশঙ্কা থাকায় নতুন ট্যাকটিক্যাল ড্রেসে আমাদের টিম শহরমুখী প্রতিটি প্রবেশপথে অবস্থান নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ইউনিট মাঠে রয়েছে।”
নগর পুলিশের ব্যবহৃত এই নতুন ট্যাকটিক্যাল পোশাক উচ্চ-দৈহিক কর্মক্ষমতা, দ্রুতগতির টহল এবং যেকোনো সহিংস পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা।
চট্টগ্রাম নগরে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনার পর এই পোশাক মাঠে ব্যবহার শুরু হয়েছে, যাতে অপরিচিত বা ছদ্মবেশী নাশকতাকারীকে দ্রুত চিহ্নিত করা যায়।
চেকপোস্টে যে ধরনের তল্লাশি চলছে
- মোটরসাইকেল চালকের কাগজপত্র, রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই
- গাড়ির ভেতরের যাত্রীদের পরিচয় ও গন্তব্য জিজ্ঞাসা
- ব্যাগ, কার্গো, ট্রাঙ্ক—সবকিছু খুলে দেখা
- সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ
- মোবাইল টিমের বডিক্যাম ও ডিজিটাল মনিটরিং
- সিএমপির টহল গাড়ি ও মোটরসাইকেল ইউনিটের বাড়তি মোতায়েন
অনেক জায়গায় ট্রাফিক কিছুটা ধীর হলেও পুলিশ বলছে, জননিরাপত্তার স্বার্থেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গত দুই সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রাম মহানগরীতে রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে মাঝেমধ্যে উত্তেজনা দেখা গেছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বিভিন্ন স্পট মিটিংয়ের চেষ্টা করলে পুলিশ বেশ কয়েকটি স্থানে বাধা দেয়।
এ ছাড়া হাটহাজারী, বায়েজিদ, বন্দরসংলগ্ন এলাকায় রাতের বেলা মোটরসাইকেলে দলবদ্ধ চলাচলের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না।
চট্টগ্রাম বন্দর, পাহাড়ি সংবেদনশীল এলাকা, বাণিজ্যিক জোন ও গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিএমপি, বন্দর পুলিশ, র্যাব ও জেলা পুলিশের সমন্বয় বাড়ানো হয়েছে।
