বরিশালের নথুল্লাবাদ টার্মিনালে বাস চলাচল বন্ধ
বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৩৮, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
হাফভাড়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বরিশালের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সকালে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ যাত্রীরা পড়ে গেছেন চরম ভোগান্তিতে। দূর-দূরান্তের যাত্রীদের অনেকেই টার্মিনালে এসে ফেরত যেতে বাধ্য হয়েছেন।
রবিবার সকাল থেকে নথুল্লাবাদ টার্মিনাল থেকে কোনো রুটেই বাস ছেড়ে যায়নি। টার্মিনালের অধিকাংশ কাউন্টারও তালাবদ্ধ হয়ে আছে।
শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক সুপারভাইজারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। অভিযোগ, সুপারভাইজার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ—সুপারভাইজারই প্রথমে তাদের ওপর হামলা চালান।
অন্যদিকে বাস শ্রমিকদের দাবি—শিক্ষার্থীরাই প্রথমে হামলা চালিয়ে বাস, কাউন্টার ও সরঞ্জাম ভাঙচুর করেন।
দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা–বরিশাল–কুয়াকাটা মহাসড়কের নথুল্লাবাদ অংশে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বরিশাল বাস মালিক গ্রুপ জানিয়েছে, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরে তাদের প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে প্রায় শতাধিক বাস। এসব বাস চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সার্ভিস বন্ধ রাখা ছাড়া তাদের উপায় নেই বলে জানান মালিকপক্ষ।
তারা আরও জানান, টার্মিনালের ভাঙচুর হওয়া কাউন্টার মেরামত না হওয়া পর্যন্ত কোনো বাস পুনরায় চালুর পরিস্থিতি নেই।
হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নথুল্লাবাদ টার্মিনালে এসে অনেকেই গন্তব্যে যেতে পারছেন না। কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে রিকশা, অটোরিকশা বা লঞ্চে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
এক যাত্রী সমাজকালকে বলেন, “শুক্রবার রাতে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। এখন সব বাস বন্ধ। না ফেরত যাওয়া যাচ্ছে, না সামনে এগোনো যাচ্ছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করতে চেষ্টা চলছে। তবে বাস মালিকদের ক্ষতিগ্রস্ত যানগুলো দ্রুত মেরামত না হলে শিগগিরই বাস চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম।
