ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন
ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪৪, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন। ছবি: সংগৃহীত
ফেনী শহরের মুক্ত বাজার এলাকায় অবস্থিত জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মুখে মাস্ক পরা কয়েকজন দুর্বৃত্ত কেরোসিন ঢেলে স্মৃতিস্তম্ভে আগুন ধরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। মুহূর্তেই স্মৃতিস্তম্ভের অংশ বিশেষ দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এলে বোঝা যাবে—কারা কখন কীভাবে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে।
জুলাই আন্দোলনের আহত যোদ্ধা নাহিদুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জুলাই শহীদদের অসম্মান করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ আগুন দেওয়া হয়েছে। আশপাশে সিসিটিভি আছে—পুলিশ চাইলে দুর্বৃত্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পারবে।
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, থানার নাকের ডগায় এমন ঘটনা ঘটানো প্রমাণ করে—আওয়ামী দুর্বৃত্তরা এখনও ফেনীতে সক্রিয়। সাম্প্রতিক সময়েও তারা নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু ঘটাতে পারে। অথচ আমরা, যারা জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, নিজেদের মধ্যেই বিভক্ত হয়ে আছি। আমাদের আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা শুধু এলাকায় অবস্থান করছে না, তারা নাশকতার প্রস্তুতিও নিচ্ছে। তাদের দমন না করলে আগামী দিনে আরও ভয়াবহ সহিংসতা হতে পারে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে মাঠে থাকতে হবে।
এর আগে বরগুনা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী জেলার জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভেও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ধারাবাহিক নাশকতার কারণে জনমনে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, জুলাই শহীদদের প্রতি অসম্মানজনক এই হামলাগুলো রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, তা দ্রুত উদ্ঘাটনে জোর তদন্ত চলছে।
