প্যারিস চুক্তির অঙ্গীকার মানছে না ধনী দেশগুলো: ফরিদা আখতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:১৫, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
প্যারিস চুক্তির অঙ্গীকার মানছে না ধনী দেশগুলো: ফরিদা আখতার। ছবি: পিআইডি
জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০–এ ধনী দেশগুলোর প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অঙ্গীকার রক্ষায় ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। শনিবার ব্রাজিলের বেলেমে বাংলাদেশ সময় রবিবার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন—“জলবায়ু অর্থায়ন আমরা দয়া হিসেবে চাই না, এটি আমাদের অধিকার। তাই অনুদান আকারে দিতে হবে—এ দাবি আমরা আবারও স্পষ্ট করছি।”
ফরিদা আখতার বলেন, যারা জলবায়ু সংকট তৈরি করেছে, তারাই বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে; বিপরীতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ওপর চাপ আরও বাড়ছে।
তিনি বলেন, “দায়ীদের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের একটি অসম যুদ্ধ চলছে। আমরা দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিত্ব করতে এসে তা আরও পরিষ্কারভাবে দেখি।”
জেন্ডার–সম্পৃক্ত চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন—“জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে নারীদের ওপর। তাই জলবায়ু নীতিনির্ধারণে নারীর অংশগ্রহণ জরুরি। ভবিষ্যতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি জানান, এবার কপ সম্মেলনে তরুণদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ অত্যন্ত লক্ষ্যণীয়।তাদের প্রশ্ন, মতামত ও উপস্থিতি আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ভবিষ্যতের জলবায়ু নেতৃত্ব তাদের হাতেই গড়ে উঠবে—তাই তাদের ভূমিকা অনিবার্য”
সংবাদ সম্মেলনে নদীর প্রবাহ–স্বভাব বদল, আবাসস্থল ধ্বংস এবং জলবায়ুজনিত চাপের ফলে জাতীয় মাছ ইলিশের ওপর গুরুতর প্রভাবের কথা তুলে ধরেন ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন—“বাংলাদেশের ইলিশ বিশ্বের সেরা। তবে জলবায়ু চাপের কারণে এর নিরাপত্তা হুমকির মুখে। এতে আমাদের দেশের মৎস্যজীবীরা পেশা হারানোর ঝুঁকিতে পড়ছেন। এই সম্পদ রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ,অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সোহেল,পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল হক,পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী,সেন্টার ফর ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এম. হাফিজুল ইসলাম খানসহ আরও অনেকে।
বাংলাদেশের পক্ষে তারা কপ৩০–এর আলোচনায় বিভিন্ন দিক থেকে তথ্য ও দাবি উপস্থাপন করেন।
