গাছ কেটে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩:১০, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
ভোরে বড় বড় গাছ কেটে সড়কে অবরোধ তৈরি করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
মাদারীপুরে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের গোপালপুর এলাকায় ভোরে বড় বড় গাছ কেটে সড়কে অবরোধ তৈরি করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। এতে প্রায় চার ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কালকিনি ও ডাসার উপজেলার সীমান্তবর্তী গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তরে অবস্থান নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। যন্ত্রের সাহায্যে ১০ থেকে ১২টি আস্ত গাছ কেটে সেগুলো মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ফেলে দেওয়া হয়।
পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস গাছ অপসারণ করলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গাছ ফেলার পাশাপাশি মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা।
এতে উভয় দিকের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে যানবাহন সারি ধরে আটকে পড়ে। দূরপাল্লার বাস, অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক—সবই আটকে গিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ অবরোধে নেতৃত্ব দেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, কালকিনি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার।
বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কে একটি ভ্যান এনে তার ওপর মঞ্চ বানিয়ে মাইক হাতে বক্তব্যও দেন।
তারা বলেন, “শেখ হাসিনাকে ফাঁসির ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে শাটডাউন কর্মসূচি চলছে।”
খবর পেয়ে কালকিনি ও ডাসার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীরা সরে পড়েন। এরপর ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গাছ অপসারণ শুরু হয়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “একাধিক বড় বড় আস্ত গাছ সড়কে ফেলে রাখা হয়েছিল। এগুলো অপসারণ করতেই বেশি সময় লেগেছে। সকাল সাড়ে ৯টার পর যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।”
তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”
চার ঘণ্টা ধরে আটকে থাকা যাত্রীরা জানান, সকালে তারা হঠাৎ দেখে সামনে রাস্তা বন্ধ, কোথাও যেতে পারছেন না। কয়েকজন বলেন,
“এভাবে গাছ কেটে সড়ক বন্ধ করে রাজনৈতিক বিক্ষোভ—এটা সম্পূর্ণ অমানবিক। রোগী, ছাত্র, নারী–শিশু—সবাই বিপদে পড়ে গেছে।”
