সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক
আল-ফাশিরে এক সপ্তাহে যৌন নির্যাতনের শিকার ৩২ কিশোরী
প্রকাশ: ১২:১২, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:১৭, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: আনাদোলু এজেন্সি
সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আল-ফাশির আরএসএফ কর্তৃক দখলের পর কিশোরীদের ওপর ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মাত্র এক সপ্তাহে অন্তত ৩২ কিশোরী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক।
সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েকজন কিশোরীকে আল-ফাশিরের ভেতরেই ধর্ষণ করা হয়েছে। আর অনেকে যখন পাশের টাওইলা শহরে পালানোর চেষ্টা করছিল, তখনও তারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
মেডিকেল গ্রুপটি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন, স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্তর্ভুক্ত।
তাদের ভাষায়, আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নারীদের ওপর যে নিষ্ঠুরতা ও বিশৃঙ্খলা চলছে, তা এই ঘটনাগুলো আবারও প্রমাণ করল। সেখানে কোনো সুরক্ষা নেই, নেই জবাবদিহিতা।
সংগঠনটি আরএসএফকে পুরোপুরি দায়ী করে একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের জরুরি দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা দলগুলোর প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। যেন তারা চিকিৎসা, আইনি সহায়তা এবং মনোসামাজিক সহায়তা দিতে পারে।
সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের সংঘাত শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের এপ্রিলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ, বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ। গত মাসে আরএসএফ উত্তর দারফুরের রাজধানী আল-ফাশির দখল করার পর গণহত্যার অভিযোগ উঠে। বর্তমানে দারফুরের পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোই তাদের নিয়ন্ত্রণে, আর সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে সুদানের বাকি ১৩ রাজ্যের বেশির ভাগ অঞ্চল, যার মধ্যে রাজধানী খার্তুমও রয়েছে।
দেশটির মোট ভূখণ্ডের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ দারফুর অঞ্চল হলেও সুদানের মানুষের অধিকাংশই বাস করে সেনানিয়ন্ত্রিত এলাকায়।
