ক্যাম্পে দু’পক্ষের গোলাগুলি: মুন্না গ্রুপের সদস্য দেলোয়ার নিহত
উখিয়া–টেকনাফ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:২২, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে একজন রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে ই-ব্লক সংলগ্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় ক্যাম্পজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, তিনি সি-ব্লকের বাসিন্দা এবং স্থানীয়ভাবে পরিচিত মুন্না গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।
ক্যাম্প সূত্র জানায়, রবিবার গভীর রাতে আরএসও (আরাকান স্যালভেশন অর্গানাইজেশন) ও মুন্না গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ১০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।
এসময় দেলোয়ারকে টার্গেট করে ২ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হলে একটি গুলি তার ডান উরুতে লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ক্যাম্পসংলগ্ন জিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দুই দিন আগে শফিক নামে এক ব্যক্তির ছেলেকে ফরিদ গ্রুপের কয়েকজন মারধর করে। এই ঘটনার জের ধরেই শফিক ও তার ৬–৭ সহযোগী মিলিত হয়ে মুন্না গ্রুপের সদস্যদের ওপর লক্ষ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়—এতে দেলোয়ার গুলিবিদ্ধ হন এবং প্রাণ হারান।
গোলাগুলির শব্দ শুনে কুতুপালং পুলিশ ক্যাম্পের টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে হামলাকারীরা আগেই পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উখিয়া থানার ওসি জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্প এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
ঘটনার পর পুরো কুতুপালং ক্যাম্পে চরম উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে সক্রিয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রভাব নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্বিগ্ন। নতুন এই গোলাগুলি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
