উখিয়ায় শিশু নুরশেদ অপহরণ
উখিয়া-টেকনাফ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:১৩, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
গ্রেপ্তারকৃত তিন জন মাঝেখানে, ছবি: সমাজকাল
কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়াপাড়া এলাকার শিশু মোহাম্মদ নুরশেদ (১৪) অপহরণের ঘটনায় র্যাব–১৫ এর বিশেষ অভিযানে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঘটনার চার দিন পরেও শিশুটির কোনো খোঁজ মিলছে না। এতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে।
র্যাব–১৫ জানায়, গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে তথ্য–প্রযুক্তির সহায়তায় কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে তিনজনকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তাররা সবাই কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলিংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মহুরীপাড়ার বাসিন্দা। তারা হলেন—মো. ইয়াছিন (২০), পিতা রবিউল্লাহ, সোহেল রানা (১৯), পিতা মো. মুক্তার আহমেদ ও মো. সেলিম (১৯), পিতা মৃত মো. শফি।
গ্রেপ্তারের পর তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পরিবার জানায়, গত ১২ নভেম্বর সকাল ৬টার দিকে নুরশেদ ফলিয়াপাড়া এলাকা থেকে উখিয়া ইমপেরিয়াল বাস কাউন্টারের উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর থেকেই তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় তার পিতা নুর মোহাম্মদ ১৪ নভেম্বর উখিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং–৭৫৫, ট্র্যাকিং নং (সিইপি৯ইএল) করেন। পরে জিডির ভিত্তিতে র্যাব অভিযান শুরু করে।
গতকাল ১৬ নভেম্বর নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় অপহরণ মামলা (মামলা নং ৪০) দায়ের করেন।
নিখোঁজ নুরশেদ রাজাপালং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফলিয়াপাড়ার বাসিন্দা।

উখিয়া থানার ওসি মো. জিয়াউল হক সমাজকালকে বলেন,“র্যাব–১৫ তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চালাচ্ছি। শিশুকে উদ্ধারে র্যাব ও থানা পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। আশা করছি দ্রুতই নুরশেদের সন্ধান পাওয়া যাবে।”
নিখোঁজ শিশুর বাবা নুর মোহাম্মদ শেখর বলেন,“আমার ছেলেটাকে দ্রুত খুঁজে পাওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন করছি। আসামিরা ধরা পড়েছে, কিন্তু নুরশেদ কোথায়—এখনো জানি না। প্রতিটা মুহূর্ত দুশ্চিন্তায় কাটছে।”
একজন নিকট আত্মীয় জানান,“শিশুটি জীবিত আছে কি না—এই ভয় আমাদের খেয়ে ফেলছে। আমরা শুধু চাই, যেভাবেই হোক তাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হোক।”
ফলিয়াপাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন,শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধারে আরও জোরালো অভিযান প্রয়োজন।
এদিকে নুরশেদের সন্ধান মিলেনি বলে পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্বেগ আরও বাড়ছে।
