রাশিয়ার তেল না কেনার প্রতিশ্রুতি
ট্রাম্পের দাবির কী জবাব দিলো ভারত?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৩৫, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে নয়াদিল্লি আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। তবে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে— অস্থির জ্বালানি বাজারে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং সেই লক্ষ্যেই দেশটির জ্বালানি আমদানি নীতি নির্ধারিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,‘ভারত তেল ও গ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকারক দেশ। বর্তমান অস্থির বাজারে আমাদের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। স্থিতিশীল দামের পাশাপাশি সরবরাহের নিশ্চয়তা—এই দুই লক্ষ্যই আমাদের নীতির কেন্দ্রে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ভারত বহু বছর ধরেই জ্বালানির উৎস বৈচিত্র্য আনার কৌশল অনুসরণ করছে। বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী আমদানি উৎসের পরিসর বাড়ানো এবং সাশ্রয়ী দামে তেল কেনাই এখনো ভারতের অগ্রাধিকার।
ট্রাম্পের বক্তব্য: ‘মোদি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন’
এর আগে বুধবার (১৫ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনায় আমি খুশি ছিলাম না। মোদি আজ আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবেন। এটি একটি বড় পদক্ষেপ, এবং এখন আমরা চীনকেও একই কাজ করতে বাধ্য করব।’
এই মন্তব্যের পরই আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনায় আসে রাশিয়া-ভারত জ্বালানি বাণিজ্য সম্পর্ক।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করা ভারতের জন্য জ্বালানি সরবরাহের বড় পরিবর্তন আনবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া তেল রপ্তানি করে আসছে মূলত ভারত ও চীনের কাছে। তাই নয়াদিল্লির সম্ভাব্য এই পদক্ষেপ মস্কোর রাজস্ব প্রবাহে বড় ধাক্কা দিতে পারে, একই সঙ্গে এটি ওয়াশিংটনের জ্বালানি কূটনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
ভারত অবশ্য এখনো চূড়ান্ত কোনো অবস্থান ঘোষণা করেনি, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে স্পষ্ট যে দেশটি কেবল রাজনৈতিক চাপ নয়, জনগণের অর্থনৈতিক স্বার্থকেই প্রাধান্য দেবে।