আসিম মুনিরকে ‘আমার প্রিয়’ বললেন ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:২৪, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

মিসরের শার্ম আল-শেখে আয়োজিত গাজা শান্তি সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে ‘আমার প্রিয়’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর সম্মেলনের মূল মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প পাকিস্তানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, যদিও সেনাপ্রধান আসিম মুনির উপস্থিত ছিলেন না, তবুও ট্রাম্প তার নাম উচ্চারণ করে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন।
শাহবাজ শরিফকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানোর আগে ট্রাম্প বলেন,“প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং আমি অবশ্যই বলতে পারি—পাকিস্তান থেকে আমার প্রিয় ব্যক্তি হলেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তিনি এখানে নেই, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আছেন।”
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকেও ট্রাম্প মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
মঞ্চে উঠে শাহবাজ শরিফ বলেন,“আজকের দিনটি আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন। কারণ নিরলস প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যিকারের একজন শান্তির মানুষ, যিনি দিনরাত এক করে এই পৃথিবীকে শান্তি ও সমৃদ্ধির স্থান বানানোর জন্য কাজ করেছেন।”
তিনি আরও জানান, পাকিস্তান আগেও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিল, কারণ তিনি ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধে ভূমিকা রেখেছিলেন। শাহবাজ বলেন,“আজ আবারও আমি তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিতে চাই। কারণ তিনি দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন।”
শাহবাজের বক্তব্য শেষে হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিতে ট্রাম্প বলেন,“ওয়াও! আমি এটা আশা করিনি। চলুন, বাড়ি যাই—আর কিছু বলার নেই! সবাইকে ধন্যবাদ।”
এর আগে তিনি বলেন, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।“যদি আমি এবং আমার টিম না থাকতাম, হয়তো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত এমন জায়গায় পৌঁছাত যেখানে কেউ বেঁচে থেকে তার ফলাফল বলতে পারত না,”— বলেন ট্রাম্প।
শাহবাজ শরিফ তার বক্তব্যে কাতার, তুরস্ক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদেরও গাজা ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।
সম্মেলনে উপস্থিত কূটনীতিকরা বলছেন, শার্ম আল-শেখের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক অধ্যায় সূচনা করেছে। আর সেই মঞ্চেই পাকিস্তানের কূটনৈতিক সক্রিয়তা ও ট্রাম্পের প্রকাশ্য প্রশংসা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।