অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ জন
প্রকাশ: ২০:৪২, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:১৭, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

জোয়েল মোকির, পিটার হাউইট ও ফিলিপ আগিয়োঁ। ছবি: সংগৃহীত
অর্থনীতিতে উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রবৃদ্ধির নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ— জোয়েল মোকির, ফিলিপ আগিয়োঁ এবং পিটার হাউইট।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি এক সংবাদ সম্মেলনে স্টকহোম থেকে তাদের নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, “তাদের গবেষণা বিশ্ব অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির মূল উৎস— উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার গতিশীল প্রভাবকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করেছে।”
জোয়েল মোকিরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে ‘প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির পূর্বশর্তগুলো চিহ্নিত করার জন্য’।
অন্যদিকে ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট পেয়েছেন ‘সৃজনশীল বিনাশ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব দেওয়ার জন্য’।
এই তত্ত্ব অনুযায়ী, পুরনো শিল্পপ্রক্রিয়া বা প্রযুক্তির অবসান ঘটিয়ে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়— যা শিল্পবিপ্লব থেকে আধুনিক ডিজিটাল অর্থনীতি পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করে তাদের গবেষণা।
জয়ীদের পরিচয় ও অবদান
জোয়েল মোকির: যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। তার গবেষণা ইতিহাস, উদ্ভাবন ও অর্থনীতির মেলবন্ধন ঘটিয়েছে।
ফিলিপ আগিয়োঁ: ফ্রান্সের কলেজ দ্য ফ্রান্স অ্যান্ড ইনসিড এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক। তিনি উন্নয়ন অর্থনীতির শীর্ষ গবেষকদের অন্যতম।
পিটার হাউইট: যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। তিনি আগিয়োঁর সঙ্গে মিলে ১৯৯০-এর দশকে এজিওন হোয়িট মডেল তৈরি করেন, যা আধুনিক প্রবৃদ্ধি তত্ত্বের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
তিন অর্থনীতিবিদ মিলে ভাগ করে নেবেন এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার। এর মধ্যে জোয়েল মোকির পাবেন অর্ধেক, আর বাকি অর্ধেক অর্থ আগিয়োঁ ও হাউইটের মধ্যে ভাগ হবে।
গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন ডেরন আসেমোগ্লু, সাইমন জনসন ও জেমস এ. রবিনসন—প্রতিষ্ঠান কীভাবে গঠিত হয় এবং তা সমাজের সমৃদ্ধিকে কীভাবে প্রভাবিত করে, সে বিষয়ে তাঁদের গবেষণার জন্য।
চলতি বছরের বিজয়ীদের হাতে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর, সুইডেনের স্টকহোমে, আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে।