শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

| ১ কার্তিক ১৪৩২

ট্রাম্পের নাটকীয় পরিবর্তন:

ইউক্রেন পুরো ভূখণ্ড ফেরত পেতে পারে, জেলেনস্কিকে আশ্বাস

প্রকাশ: ১২:২৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইউক্রেন পুরো ভূখণ্ড ফেরত পেতে পারে, জেলেনস্কিকে আশ্বাস


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ করেই ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করে তিনি জানান—কিয়েভ এখন “মূল সীমান্তসহ পুরো ইউক্রেন ফেরত পেতে পারে”। এর আগে ট্রাম্প বহুবারই বলেছেন, যুদ্ধ থামাতে হলে ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিতে হতে পারে।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে লিখেছেন, রাশিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে এবং এ সময় ইউক্রেনের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। রাশিয়াকে তিনি “পেপার টাইগার” বলে আখ্যা দেন।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এ অবস্থানকে “বড় পরিবর্তন” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, যুদ্ধ শেষে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও বিস্তারিত কিছু এখনো নেই, জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন—অতিরিক্ত অস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ড্রোন সহায়তা মিলতে পারে।
ফক্স নিউজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্য তাকে বিস্মিত করলেও তিনি এটিকে ইতিবাচক সংকেত হিসেবে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, পুতিন বারবার ট্রাম্পকে মিথ্যা বলেছেন—এটাও আমাদের অবস্থানের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করেছে।”
ট্রাম্প একই দিনে ন্যাটো দেশগুলিকে পরামর্শ দেন—যদি রাশিয়ার যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে তবে সেগুলো ভূপাতিত করা উচিত। সম্প্রতি পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া ও রোমানিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। ন্যাটো এ ঘটনাকে “বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন” আচরণ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট কারোল নাভরকি স্পষ্ট করে বলেন, “আমাদের জনগণ রুশ ড্রোনে ভীত নয়। আমরা প্রয়োজনে প্রতিরোধ করব।”
এর আগে ট্রাম্প ইউক্রেনকে সতর্ক করেছিলেন যে, বড় ও জনবহুল রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে টিকে থাকা কঠিন। এমনকি তিনি ডনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল ছাড়ার বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও ভেবেছিলেন বলে খবর ছড়ায়। কিন্তু সর্বশেষ বার্তায় তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো মিত্রদের কাছে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রাখবে, যা ইউক্রেনেও পৌঁছাবে।
যদিও এটি বাইডেন প্রশাসনের মতো খোলামেলা অঙ্গীকার নয়, তবে এ অবস্থান ইউক্রেনের জন্য নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পরিবর্তন হয়তো স্থবির হয়ে পড়া শান্তি আলোচনায় নতুন গতি আনার কৌশল হতে পারে।
 

আরও পড়ুন