আণবিক বিজ্ঞানী রেজাউর রহমান মারা গেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৩৬, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রখ্যাত আণবিক বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক রেজাউর রহমান আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৩ অক্টোবর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৫ অক্টোবর তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়।
গতকাল শনিবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়; কিন্তু আজ সকালেই মৃত্যু হয় এই খ্যাতিমান বিজ্ঞানীর।
রেজাউর রহমানের মৃত্যুর সংবাদে পরিবার, সহকর্মী ও বিজ্ঞান মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তিনি স্ত্রী হালিমা রহমান, দুই মেয়ে নীলাঞ্জনা রহমান ও মঞ্জুলিকা রহমানসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
পরিবার জানিয়েছে, তার ছোট মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর মধ্যে মরদেহ ল্যাবএইড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
রেজাউর রহমান ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ফজলুর রহমান, মা লুৎফুন্নেসা। তিনি ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে এমএসসি সম্পন্ন করেন এবং ১৯৭৯ সালে চেক একাডেমি অব সায়েন্সেস থেকে কীটতত্ত্বে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে তিনি প্রায় ৩৫ বছর গবেষণা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন এবং পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেন।
বিজ্ঞানচিন্তা প্রচারে তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল নাম। তার লেখা বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ, প্রবন্ধ ও জনপ্রিয় বিজ্ঞান বই পাঠকের মধ্যে বিপুল সাড়া জাগায়। পাশাপাশি তিনি উপন্যাস ও গল্প রচনায়ও মনোনিবেশ করেছিলেন।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার প্রসারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন রেজাউর রহমান।
তার বড় ভাই প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং ছোট ভাই চিকিৎসক জাকিউর রহমান।
বিজ্ঞান, সাহিত্য ও গবেষণায় তার দীর্ঘ অবদান বাংলাদেশে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
