বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

| ৮ কার্তিক ১৪৩২

রূপসী বাংলায় শঙ্খচিল শালিকের বেশে

সমাজকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১০:২৪, ২২ অক্টোবর ২০২৫

রূপসী বাংলায় শঙ্খচিল শালিকের বেশে

আজ রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুবার্ষিকী। বরিশালে জন্ম নেওয়া এই কবি ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতার বালিগঞ্জে ট্রাম দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে শম্ভূনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তিনি শঙ্খচিল-শালিকের বেশে আবার ফিরে আসার কথা বলেছিলেন। আসলে তিনি এখনো রয়ে গেছেন। তিনি নিঃশব্দে বাঙালির হৃদয়ে বাস করছেন। তার কবিতা এখনও বাঙালি পাঠকের মনে রোদ ও ছায়ার খেলা ঘটায়, একাকীত্বকে সঙ্গী বানায় এবং জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোকে বিশাল অর্থপূর্ণ করে তোলে।

জীবনানন্দ দাস বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন। তিনি ছন্দোত্তর ধারার প্রকৃত পথিকৃৎ। বাংলা আধুনিক কবিতার সূচনা এবং বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার কবিতায় প্রধানত মানব জীবনের নীরব দুঃখ, প্রকৃতির সৌন্দর্য, একাকীত্ব এবং সময়ের অতল গভীরতা ফুটে ওঠেছে।

জীবনানন্দ দাস কবিতায় বাস্তব জীবনকে চিত্রায়িত করেছেন। তার কবিতায় প্রায়শই কলকাতা শহরের নিঃসঙ্গতা, গ্রামীণ জীবন, নদী, মাঠ, আকাশ, গাছ-পাহাড়ের পরিবেশ এবং মানুষের ভিতরের জটিলতা প্রকাশিত হয়েছে। তার কবিতার আভ্যন্তরীণ ভাবার্থ গভীর এবং প্রতিটি পঙক্তিতে দার্শনিক চিন্তার ছোঁয়া রয়েছে।

জীবনানন্দ দাস ছিলেন নিঃসঙ্গ, কিন্তু গভীর চিন্তাশীল। তিনি কখনো খ্যাতি অর্জনের চেষ্টা করেননি। তার কবিতা আমাদের শেখায় কথার চেয়ে কাজে বড় হওয়ার বিষয়টি। মা কুসুমকুমারী দাসের সেই কবিতার প্রতিফলন আমরা জীবনানন্দের সৃষ্টিতে দেখতে পাই। তিনি শব্দের মাধ্যমে জীবনের গভীরতা, প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং মানব মনস্তত্ত্বকে প্রকাশ করেছেন।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন