রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

| ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

চীনের নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চেন নিং ইয়াং আর নেই

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ১০৩ বছর বয়সে পরলোকগমন করেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 

প্রকাশ: ১৪:৩৪, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ১০৩ বছর বয়সে পরলোকগমন করেছেন

বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী পদার্থবিদ এবং নোবেলজয়ী অধ্যাপক চেন নিং ইয়াং আর নেই। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, অসুস্থতার কারণে শনিবার ১০৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৫৭ সালে সহকর্মী তাত্ত্বিক পদার্থবিদ লি সুং-দাও এর সঙ্গে যৌথভাবে সমমিতি নীতি লঙ্ঘনের আবিষ্কারের জন্য ইয়াং নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। এই যুগান্তকারী কাজ পদার্থবিজ্ঞানে মৌলিক কণার গঠন ও আচরণ বোঝার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। নোবেল কমিটি তাদের গবেষণাকে বর্ণনা করেছিল “অত্যন্ত সূক্ষ্ম অনুসন্ধান যা মৌলিক কণাসমূহ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছে” বলে।

১৯২২ সালে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে জন্ম নেওয়া চেন নিং ইয়াং ছিলেন পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। তার বাবা ছিলেন বেইজিংয়ের বিখ্যাত ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই বড় হওয়া ইয়াং শৈশবেই বিজ্ঞানচর্চায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। কৈশোরে একদিন তিনি পিতামাতাকে বলেছিলেন, “একদিন আমি নোবেল পুরস্কার জিতব।”

তিনি ১৯৪২ সালে ইউনান প্রদেশের ন্যাশনাল সাউথওয়েস্ট অ্যাসোসিয়েটেড ইউনিভার্সিটি থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তিনি টসিংহুয়ার ফেলোশিপে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন, যেখানে তিনি বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ এনরিকো ফের্মি -র অধীনে গবেষণা করেন।

চেন নিং ইয়াংয়ের গবেষণা পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিস্তৃত ছিল। বিশেষ করে পরিসংখ্যানগত বলবিদ্যা ,সমমিতি নীতি  এবং মৌলিক কণার তত্ত্বে তার অবদান অম্লান।

নোবেল পুরস্কারের পর তিনি ১৯৫৭ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন স্মারক পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৫৮ সালে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অর্জন করেন।

চেন নিং ইয়াং ১৯৫০ সালে চিহ লি টু (কে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে তিন সন্তান জন্ম নেয়। ২০০৩ সালে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ২০০৪ সালে তিনি বিয়ে করেন ওয়েং ফ্যান কে, যিনি তার চেয়ে ৫০ বছরেরও বেশি ছোট। দু’জনের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে একটি পদার্থবিজ্ঞানের সেমিনারে, যখন ওয়েং ছিলেন একজন তরুণ শিক্ষার্থী। পুনরায় যোগাযোগের পর তাদের সম্পর্ক পরিণতি পায় বিবাহে। ইয়াং একবার বলেছিলেন, “ওয়েং আমার জীবনের ঈশ্বরপ্রদত্ত শেষ আশীর্বাদ।”

এক শতাব্দীরও বেশি দীর্ঘ জীবনজুড়ে চেন নিং ইয়াং ছিলেন বিজ্ঞানচর্চার এক উজ্জ্বল আলোকস্তম্ভ। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের জগতে তার আবিষ্কার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের পথ দেখিয়ে যাবে। তাঁর গবেষণা মানবজাতির মহাবিশ্ব-চিন্তাকে গভীরতর করেছে—একই সঙ্গে বিজ্ঞানকে করেছে আরও মানবিক।

সূত্র: সিসিটিভি, চায়না ডেইলি

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

১৯৭১ সালেই মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে : তারেক রহমান
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনারের বৈঠক
রোজা–পূজা নিয়ে মন্তব্য : জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা
৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ : পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান
নতুন জোটের ঘোষণা দিল এনসিপি
রাজবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংরক্ষিত কবরস্থানে নাশকতা
প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্ট; ৩ কয়লাখনি থেকে কয়লা না তোলা ভুল ছিল
আজ নোয়াখালী মুক্ত দিবস
শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু
বিটিআরসির সামনে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ
‘মিনেসোটা প্রোটোকল’ মেনে শুরু জুলাই শহীদদের শনাক্তকরণ
বইয়ের জ্ঞান খেলাপিদের কাছে হার মানল: উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন
এভারকেয়ারে জোবাইদা, চলছে মেডিকেল বোর্ডের সভা
স্কুলিং মডেল বাতিলের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ শিক্ষার্থীদের
বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় ভারত: প্রণয় ভার্মা
নির্বাচনে ৮৯% সাংবাদিক নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কায়: জরিপ
১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেডিকেল কোচিং সেন্টার বন্ধ
জানুয়ারির শুরুতেই শিক্ষার্থীরা বই পাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বিএনপি ‘প্রতিশ্রুতির রাজনীতিতে’ বিশ্বাসী: রিজভী